বুধবার, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

“আমি কাউকে পরোয়া করিনা”, মৎস কর্ককর্তা হাসানুল হকের অনিয়ম ও দূর্ণীতি চরমে

 

নুরুল আমিন ভূঁইয়া দুলাল ,নিজস্ব প্রতিবেদক

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৪ নং মান্দারী ইউনিয়নে মৎস্য বীজ উৎপাদন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের কর্মকর্তা হাসানুল হকের অনিয়ম ও দূর্ণীতি চরমে পৌঁছেছে। সরকারি চাকুরীর নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিনের পর দিন কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থেকেও সরকারি সকল সুযোগ সুবিধাসহ বেতন তুলে নিচ্ছেন।
প্রায় পাঁচ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই মৎসবীজ উৎপাদন কেন্দ্রটি তার অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারনে এখন মৃতপ্রায়।
জনগন এর সুফল থেকে বঞ্চিত হলেও পুরো হ্যাচারী জুড়ে তার গরুর খামার। খামারে ষ্টাপ কোয়ার্টারের টাইলস করা ফ্লোরে গরু রাখায় অনেক টাইলস ভেঙ্গে গেছে।
তার গরুর খামার দেখভাল করার জন্য হাসানুল হকের দুইজন লোক রয়েছে। এরাই এখন এই বিশাল সরকারি সম্পত্তির উপর কর্তৃত্ব করছে। খামারে কর্মকর্তা কর্মচারী ও স্থানীয়দের নামাজ পড়ার ঘরটিও এখন তার গোশালা।

হ্যাচারীর যন্ত্রপাতিগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো হওয়ার পথে।
হ্যাচারীর ভিতর প্রচুর আমগাছ ও নারিকেলগাছ থাকলেও সেগুলোর ফলও ভোগ- বিক্রি করে খান হাসানুল হক।
মাছের পোনা উৎপাদন ও বিক্রি বিতরণের কোন হিসাব নেই। ইতিমধ্যে আত্মসাৎ করেছেন সরকারের কয়েক লক্ষ টাকা।

মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় অফিসে গিয়ে দেখা যায় অফিসের প্রধান গেইটে তালা ঝুলছে।
মোবাইল ফোনে অফিসে নেই কেন জিজ্ঞেস করলে বলেন, আপনাকে বলতে হবে কেন অফিসে নেই, আমি কাউকে পরোয়া করিনা।

হাসানুল হকসহ অন্যরা কেন অফিসে আসেন না, জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, হাসানুল হককে কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে। তিনি কাউকে পরোয়া করেন না। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না। আপনারা যা দেখতে পাচ্ছেন, তাই নিয়ে নিউজ করেন।

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----