গৃহকর্মীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ, চিকিৎসক গ্রেফতার


মামলার বিবরণীতে জানা যায়, গত ২১ জুন (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৬টায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ফরহাদ তার বাসার গৃহপরিচারিকাকে নিজ চেম্বারে নিয়ে আগের ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে কিশোরীর মা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আসামির বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। ওই কিশোরীর মা বলেন, ‘গত দুই মাস আগে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে আমার পরিচয় হওয়ার পর সে আমার মেয়েকে তার বাসায় কাজ করার জন্য বলে।
পরে আমি মেয়ের বাবার সাথে পরামর্শ করে তার বাসায় মেয়েকে কাজ করার জন্য দিয়ে আসি। কয়েকদিন পর আসামি আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে এবং ওই ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত তার বাসার চেম্বারে একাধিকবার আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি মেয়ে আমাকে জানালে চিকিৎসকের বাসা থেকে আমার মেয়েকে নিয়ে আসি। নিয়ে আসার পরই অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর থেকে আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে মেয়েকে ধর্ষণের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
শনিবার (২৯ জুন) সকালে আমার এক আত্মীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও দেখতে পেয়ে ফোন করে জানায়। পরে আমি ওই দিন সন্ধ্যায় থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।’ শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা অভিযুক্ত চিকিৎসক ফরহাদ উজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করলে রাতেই তাকে তার বাসার চেম্বার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।
দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।