নবীনগরে কোরবানির হাট মাতাচ্ছেন শান্তরাজ, হিরো আলম, জায়েদ খান ও লায়লা
কামরুল ইসলাম, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে জমে উঠেছে পশুর হাট। হাটে পুরোদমে চলছে গরু, ছাগল মহিষ বেচা-কেনা। কেউ কেউ বাজারে এসেছেন কোরবানির পশু কিনতে আবার কেউবা এসেছেন পশু বিক্রির উদ্দেশ্যে। এতে কোরবানির পশুর হাটটি ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠেছে। শুক্রবার (১৪ জুন) সরকারি স্কুল মাঠ পশুরহাটে গরু কিনতে আসা মো.ফরিদ ও এরশাদ আলী জানান, আর মাত্র ৪ দিন পরেই ঈদুল আজহা (কোরবানির ঈদ)।ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে হাটে এসেছি কোরবানি পশু কিনতে।গত কয়েকদিন আরোও কয়েকটি হাটে গিয়েছিলাম।
মনের মত গরু পাইনি।কিন্তু এবার অন্যবারের চেয়ে গরুর সংখ্যা অনেক বেশী।গরু বেশী আমদানি হওয়ায় দাম অনেকটা হাতের নাগালে।হাট ঘুরে বুঝতে পেরেছি,এ বছর কোরবানির পশুর দাম বিগত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবুও সাধ্যের মধ্যে পছন্দের গরু কেনার চেষ্টা করছি। অন্যদিকে এ হাটে খামারের গরু বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন পাইকার রাশেদ মিয়া ও মনোয়ার হোসেন।তাদের প্রত্যেকের প্রায় ৫,৭ করে গরু। তারা বলেন,ক্রেতারা দাম কম বলছেন। এদিকে এ বছর খাদ্যের দাম একটু বেশি হওয়ায় গরুর পেছনে আমাদের খরচও বেশি হয়েছে। তবুও ক্রেতাদের সঙ্গে দামে ধরে মিলেগেলে গরুগুলো বিক্রি করে দেব।
রায়পুর থেকে আসা শামসু মিয়া এবারের এ হাটে সবচেয়ে বড় গরুটি তুলেছেন।যার ওজন প্রায় ১২শ কেজী বলে তিনি দাবী করছেন।সাথে কালো মানিক নামে আরেকটি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মূল্যের গরু ফ্রি।তার বিশাল দেহের গরুটির নাম রেখেছেন শান্ত রাজ।তিনি শান্ত রাজের দাম হাকাঁছেন ২৫ লক্ষ টাকা। উনার টার্গেট ১৮ লক্ষ হলে শান্ত রাজকে ছেড়ে দেবেন।আজকে পর্যন্ত দাম উঠেছে ১৪ লক্ষ টাকা।প্রস্তে ৮ ফুট উচ্চতায় প্রায় ৬ ফুটের শান্ত রাজ বাজারকে মাতিয়ে রেখেছে।ক্রিতা ও উৎসুক জনতা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে শান্ত রাজকে একজর দেখের জন্য। পাশেই রয়েছে হিরু আলম,জায়েদ খান,লায়লা নামের আরোও বিশাল আকৃতির তিনটি গরু।প্রত্যাকটি গরুর ওজন প্রায় ৪ -৫শত কেজী হবে।
পর্যায়ক্রমে দাম হাকাঁছেন ৮-৭, লক্ষ টাকা। প্রতিবেদকের সামনেই দুই একজন ক্রেতা ৫-৬ লক্ষ টাকা বলে দামা দামি করছিলেন।বিক্রেতা ঔ দামে হিরু আলম, জায়েদ খান, লায়লা কাউকেই ছাড়তে রাজি হচ্ছিলেনা। কর্তৃপক্ষ জানায়, আমরা এবার ঈদকে সামনে রেখে একদম সীমিত আকারে হাসিল খরচ নিচ্ছি। প্রশাসনের নজরদারিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হাটে বেচাকেনা হচ্ছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ক্রেতা -বিক্রেতারা কোরবানির পশু কিনতে ও বিক্রি করতে পারবেন আমাদের পশুর হাটে।
দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।