বুধবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

নরসিংদীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জল্লাদ শাহজাহান

স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের খামখেয়ালির কারণে গতকাল মরদেহ নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। আজ সকালে মরদেহ ময়নাতদন্ত করিয়ে দুপুরে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানা গেছে, গত ১০ জুন সাভারের হেমায়েতপুরে বাসা ভাড়া নেন শাহজাহান। সেখানে থাকতে শুরু করেছিলেন তিনি। ২৩ জুন দিবাগত রাত ৩টার দিকে তার বুকে ব্যথা উঠে। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন ওই বাসার মালিক আবুল কাশেম। বাসার মালিক জানান, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকেই মারা যান জল্লাদ।

ডাকাতি, হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় ১৯৯১ সাল থেকে ৩২ বছর জেল খাটা শাহজাহান ভূঁইয়া কারাগার থেকে মুক্তি পান ২০২৩ সালের ১৮ জুন মুক্তি পান। দীর্ঘ কারাজীবনে বঙ্গবন্ধুর খুনি, মানবতাবিরোধী অপরাধীসসহ ২৬ জনের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করে আলোচিত হন শাহজাহান; পরিচিতি পান ’জল্লাদ’ শাহজাহান হিসেবে। নরসিংদীর পলাশ থানার ইছাখালী গ্রামের এই ব্যক্তি ডাকাতি ও হত্যার মামলায় ১৯৯১ সালের ১৭ মে কারাগারে যান। তার সাজা হয়েছিল ৪২ বছর। পরে জল্লাদের ভূমিকা পালনসহ নানা কারণে তার সাজা রেয়াত হয় ১০ বছর ৫ মাস।
সব মিলিয়ে ৩২ বছর পর কারাবাসের পর ২০২৪ সালের ১৮ জুন যখন মুক্তি পান, তখন কারাফটকে তার স্বজনদের কেউ ছিল না। ৪০ বছর বয়সে অবিবাহিত অবস্থায় শাহজাহান কারাগারে গিয়েছিলেন। এরপর ৭৩ বছর বয়সে মুক্তি পাওয়ার কিছুদিন পর বিয়ে করেন। গত ৩১ মার্চ প্রতারণার অভিযোগে স্ত্রী-শাশুড়িসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। পরদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ভালো নেই জানিয়ে দাবি করেন, প্রতারণার শিকার হয়ে হারিয়েছেন সব। কাজ ও থাকার জায়গা চেয়ে সরকারের প্রতি আবেদনও করেন।

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----