প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে কলেজছাত্রের আত্মহত্যা
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোররাতে তার ভাবি মোবাইলের সমস্যা সমাধানের জন্য আসাদুল কে খুঁজতে থাকে। ঘরে না পেয়ে পাশে একটি পরিত্যক্ত ঘরের দরজা বন্ধ দেখে জানালা দিয়ে তাকে ঝুলতে দেখেন পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আসাদুলকে নামান। ইতি মধ্যে সে মারা গেছেন। পাশে তার সোজাসোজি মোবাইল ফোনটি তার দিকে ফেরানো ছিল। পরে জানতে পারি, প্রেমিকার সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে ভিডিও কলে আত্মহত্যা করেন আসাদুল ইসলাম ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় আসাদুলের। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন কলেজছাত্র আসাদুল। কিন্তু প্রেমিকা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তাকে ভিডিও কলে রেখে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।আসাদুলের বন্ধুরা জানিয়েছে, বেশ কয়েক মাস আগে রংপুরের একটি মেয়ের সাথে আসাদুলের ফেসবুকে পরিচয় হয়। সেখান থেকেই ঘনিষ্ঠতা। রোজই দীর্ঘসময় তারা ফোনে কথা বলত, ভিডিও কল, চ্যাটও করত। মাঝে মাঝে তাদের ভিতর মনোমালিন্য হতো। আসাদুল একটু বেশি আবেগি ছিল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, আসাদুল ইসলামের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানতাম। মেয়েটির সঙ্গে কয়েকবার দেখাও করেছেন তিনি। পরে ওই মেয়েটিকে বিয়ের জন্য আসাদুল তার পরিবারকে জানান। তার পরিবার রাজি হয়। কিন্তু পরে জানতে পারি মেয়েটি রাজি হয়নি। হয়তো সেই দুঃখে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।কয়রা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম হোসেন জানান, কলেজছাত্রটি আলাদা ঘরে থাকতেন। সেখানেই তার মরদেহ পাওয়া গেছে। তার সোজাসুজি রাখা ভিডিও কল চালু অবস্থায় একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে অপর প্রান্তে থাকা কাউকে ভিডিও কলে রেখে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।সূত্র সময়ের কণ্ঠস্বর
দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।