যশোরে এবার স্বাস্থ্য পরিচালকের সিজারে প্রসূতির মৃত্যু


এ বিষয়ে ডা. মনজুরুল মুরশিদ মুঠোফোনে জানান, সিজারের পর রোগীর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। অনেক চেষ্টা করেও তা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। সিজারে কোন ত্রুটি ছিলো না। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি জানান, ফাতেমা হাসপাতালটি তার নয়। তিনি সেখানে রোগীর দেখেন। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান জানান, ফাতেমা হাসপাতালে সিজারের পর প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি হলেন অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান ডিটু। বাকি দুই জন হলেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহেনেওয়াজ রনি ও ডা. নাদিয়া।আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর সেটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ২৪ জুন রাত ১০ টার দিকে যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের সিটি হসপিটালে সিজার করা হয় যশোর সদর উপজেলার ইছালী ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের স্ত্রী কাজলকে। ২৫ জুন তার মৃত্যু হয়। এর আগের দিন সদর উপজেলার রুপদিয়ার গ্রামীণ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারের পর মারা যান নরেন্দ্রপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রিমা।ত্রুটিপূর্ণ সিজারে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্বজনেরা। সিভিল সার্জনের নির্দেশে দুটি ঘটনায় আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।