শনিবার, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

রামগতিতে পল্লীবিদ্যুতে ঘুষের টাকায় মিলে অবৈধ সংযোগ

 

নুরুল আমিন দুলাল ভূইয়া নিজস্ব প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের রামগতির পল্লীবিদ্যুতের জোনাল অফিসে মোটা অংকের ঘুষের টাকায় অবৈধ সংযোগ দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে ডিজিএম ও অফিসহায়ক মো. ছালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে। আর এর খোঁদ নিয়ন্ত্রক রামগতি পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসার মো. রেজাউল করিম। দিনের পর দিন চলছে এমন ঘুষের বাণিজ্য। নিঃস্ব হচ্ছে সেবাগ্রহী মানুষ।
জানা গেছে, রামগতি উপকূলীয় মেঘনানদীর পাড় এলাকার গরীব-নিরীহ অসহায় মানুষের বসবাস। ভাঙ্গনে দিশেহারা এলাকার বসবাসকালী মানুষ। দুঃখের বিষয় এখানকারবাসিন্দারা পল্লীবিদুৎ অফিসে মিটার আবেদন করতে যায়। এসময়
ঘুষ না দিলে কিংবা অফিসে থাকা দায়িত্বরত অফিসসহায়ক ছালাউদ্দিনের সাথে কথা না বললে কোন মিটার সংযোগ হয় দেয় না। অফিসে সালাউদ্দিনই বড় অফিসার। তার নির্দেশে কাগজপত্রে সহি স্বাক্ষর ও লাইন সংযোগের কাজ সম্পন্ন হয়।
অফিসের বাহিরে ও ভেতরে ছালাউদ্দিনের রয়েছে একটি শক্ত সিন্ডিকেট। বাধ্য হয়ে মানুষ সরকারী সেবা মোটা অংকের ঘুষের টাকা দিয়ে নিচ্ছেন। এমন অভিযোগ করেন বড়খেরী ইউনিয়নে জিহাদ, পোড়াগাছা ইউনিয়নে, এরশাদ ও আজাদ নামের ভুক্তভোগীরা। বিদ্যুৎ অফিসের এমন কর্মকান্ডে আর্থিকভাবে ভুক্তভোগী। অন্যদিকে সরকারী অফিসের বদনাম ছাড়াই কিছু না। ভুক্তভোগীরা আরও জানান, ছালাউদ্দিনের এমন কাজে আগে একবার অন্যত্রে বদলি করে। তিনি অফিসের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এখানে পুনরায় যোগদেন। অফিসে তার নিজ দায়িত্ব ফাঁকি ও নানা অনিয়ম যেন ডাল-ভাতে পরিণত। এদিকে ইন্সপেক্টরের রুমে বসার চেয়ার না থাকায় সেবাগ্রহীরা এসে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে।
সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, রামগতি পল্লীবিদ্যুতের অফিস সহায়ক নিজের নির্ধারিত দায়িত্ব রেখে অদূরে অফিসে আসা মানুষের সাথে কথা বলেন। মিটারের জন্য মানুষ আসলে তার নাম ঠিকানা ও ইউনিয়নের পরিচয় নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার দিয়ে দেন। পরে গ্রাহককে অফিস থেকে পাঠিয়ে দেন। তার সাথে অফিসের কর্তাকর্তার একটি গোপন সিন্ডিকেট রয়েছে। সাম্প্রতিক আলেকজান্ডার বাণী সিনেমা হল সংলগ্ন পল্লীবিদ্যুতের লাল চিঠিযুক্ত আকবর হোসেনের একটি মিটারে টাকা পাওনা ২৯ হাজার ৬০৪ টাকা। যার (বই নং ৩৪১, হিসাব নং-১১৪৫)। ওই মিটারে মোটা অংকের টাকায় নামবদলিয়ে ছালাউদ্দিন (নিজে বড় অফিসার) পরিচয় দিয়ে নতুন লাইন সংযোগ দেন।
অভিযোগের বিষয়ে অফিস সহায়ক মো. ছালাউদ্দিন জানান, আমার দায়িত্বের বাহিরে অফিসে ২/১টা মিটার সংযোগের কাজ করেছি। আমাকে অফিসের কর্মকর্তারা সহযোগিতা করেন বলে কিছু কাজ করে থাকি।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডিজিএম রামগতি জোনাল অফিসার মো. রেজাউল করিম জানান, অফিসে মিটার সংক্রান্ত বিষয়ে সেবাগ্রহীরা সরাসরি দায়িত্বশীলদের কাছে আসার জন্য সচেতন করেছি। পিয়ন ছালাউদ্দিনের ওপরে লোক আছে। তাই তাকে আমাদের অফিস থেকে সরানো যাচ্ছে না। সে আমাদের নলেজে দিয়ে কাজ করেন।
লক্ষ্মীপুর পল্লীবিদ্যুতের জিএম জাকির হোসেন জানান, আমরা অনিয়মে জড়িত নাই। কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ছালাউদ্দিনকে অফিস থেকে সরানোর জন্য আমি ডিজিএমকে বলেছি।

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----