লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী ও শ্বশুরকে কুপিয়ে মেরে ফেললেন যুবক


নুরুল আমিন ভূঁইয়া দুলাল নিজস্ব প্রতিবেদক
পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে স্ত্রী ও শ্বশুরকে কুপিয়ে মেরে ফেললেন যুবক
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মো. সুমন নামে এক যুবক তার স্ত্রী রাশেদা আক্তার (২২) ও শ্বশুর বাদশা মিয়াকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছেন।
এ সময় শাশুড়ি আঙ্কুরী বেগমকে (৪৫) হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে আহত করে মেয়ে জামাই। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরকলাকোপা গ্রামে এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা যায় নিহত বাদশা মিয়া চরকলাকোপা গ্রামের মৃত তোবারক আলীর ছেলে। ঘটনার পর থেকে মো. সুমন পলাতক আছেন।
এই মর্মান্তিক হত্যাকান্ড সম্বন্ধে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের বাসিন্দা সুমনের সঙ্গে রাশেদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সুমন স্ত্রী রাশেদাকে প্রতিনিয়তই মারধর করতো। মেয়েকে এই অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচাতে রাশেদাকে তার বাবা-মা নিজের বাড়িতে নিয়ে চলে আসেন। পরে তাকে এলাকায় অন্য এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেন।
তার স্ত্রীর বিয়ের ঘটনাটির বিষয়ে জানতেন না। বুধবার সন্ধ্যায় সুমন তার স্ত্রীকে নিতে আসলে তখন বিয়ের বিষয়টি জানতে পারেন। পরে এসব নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সুমন ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী রাশেদা, শ্বশুর বাদশা ও শাশুড়ি আঙ্কুরী বেগমকে নির্মমভাবে কুপিয়ে সুমন পালিয়ে যান। এ সময় ঘটনাস্থলেই রাশেদা ও তার বাবা বাদশা মারা যান। এদিকে আহত অবস্থায় আঙ্কুরীকে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
এই নির্মম হত্যাকান্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে রামগতি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এসেছি। মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হবে। ঘাতক সুমন পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।