সালমান-আনিসুলের পক্ষে শুনানিতে রাজি হননি কোনো আইনজীবী
সংবাদের আলো ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে চলা সংঘর্ষে দুজন নিহতের ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় হওয়া মামলায় গ্রেফতার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে তাদের ঢাকার সিএমএম আদালত চত্বরে আনা হয়। পরে দুজনকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সন্ধ্যা ৭টার কিছু সময় আগে আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড আবেদন শুনানি হয়। পরে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তবে রিমান্ড আবেদন শুনানির সময় কোনো আইনজীবী পাননি আসামিপক্ষ (সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক)। আদালসূত্রে জানা যায়, তাদের পক্ষে শুনানি করতে কোনো আইনজীবী রাজি হননি।
আসামিদের বিচার চেয়ে ঢাকা বারের সভাপতি খুরশীদ আলম মিয়া বলেন, ‘এরা (সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক) ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। এরা শিশু-কিশোরের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে দেশ শাসন করতে চেয়েছিল।’
আসামিদের সন্ধ্যায় আদালত এলাকায় আনা হলে বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। তারা সরকারের উঁচু পদের এই দুই ব্যক্তির বিচার দাবি করেন।
হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) মধ্যরাতে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। এর আগে, বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পালানোর সময় সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করে কোস্টগার্ড। এরপর তারা এ দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের ডিবির হাতে সোপর্দ করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। এদের মধ্যে একজন ছাত্র এবং একজন হকার। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়। এসব হত্যায় ইন্ধনদাতা হিসেবে এ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।