বৃহস্পতিবার, ২৪শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

আনার হত্যায় নতুন মোড়, ফাঁসছেন দলের নেতারা

সংবাদের আলো ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার, ১১ জুন। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় আজ প্রকাশিত কিছু খবরগুলোর মধ্যে গুরুত্ব পেয়েছে লকডাউনেও সমান আপ্যায়ন ব্যয়, জ্বালানি তেল, আনার হত্যায় নতুন মোড় ও বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কসহ অন্যান্য খবরগুলোর গুরুত্ব পেয়েছে। সেসব খবর থেকে কিছু আলোচিত খবরের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
(১) প্রথম আলো: নিজেদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে সংঘাতে জড়ায় আ.লীগ
পত্রিকার প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে রাজনৈতিক কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না। ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছেন। ফলে চার পর্বের এই উপজেলা নির্বাচনে প্রাণহানি হয়েছে সাতজনের। আহত হয়েছেন প্রায় এক হাজার।  স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে এবার প্রায় সব পর্বেই ছোট-খাটো সংঘাত হয়েছে। তবে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যশোর, কুষ্টিয়া, কক্সবাজার, গোপালগঞ্জ, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিরাজগঞ্জে। এই সাত জেলায় হত্যাকাণ্ডের এসব ঘটনায় আসামির সংখ্যা ১৭২। ১৯ জন গ্রেপ্তার হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মূল হোতা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। এছাড়া, বিরোধী দলবিহীন এ নির্বাচনে ভোটারদের উৎসাহ ছিল না বললেই চলে। উপজেলা নির্বাচনের ইতিহাসে এবার ভোট পড়েছে সবচেয়ে কম।
(২) দেশ রূপান্তর: লকডাউনেও সমান আপ্যায়ন ব্যয় পত্রিকার প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, করোনা মহামারীর সময় সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরাও বাসা-বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু দেশের বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের হিসাব বিবরণীতে উঠে এসেছে, স্বাভাবিক সময়ের মতো লকডাউনকালেও তাদের অফিসে ‘যারা’ এসেছিলেন, তাদেরকে চা-কফি-বিস্কুট, কখনও কখনও খাসির মাংস দিয়ে রান্না করা বিরিয়ানি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছিলো।
জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব বিল-ভাউচারের প্রায় সবই ভুয়া। কারণ মহামারীর সময় যারা এসব দপ্তরে বা কর্মকর্তাদের বাসায় যেতে বাধ্য হয়েছিলেন, তাদের মুখে ছিল মাস্ক। অনেকের হাত ছিল গ্লাভসে ঢাকা। চা-কফি পান তো দূরের কথা, তারা মুখই খুলতেন না। শুধু বরাদ্দ টাকার খরচ দেখানোর জন্য আপ্যায়নের নামে মাস শেষে এই ধরনের বিল-ভাউচার-ক্যাশ মেমো বানানো হয়েছে বলে উঠে এসেছে দেশ রূপান্তরের অনুসন্ধানে। এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান দেশ রূপান্তরকে বলেন, “যখন সবকিছু বন্ধ ছিল তখন কে সরকারি অফিসগুলোতে গিয়েছিলেন? কাদের এসব আপ্যায়ন করা হলো? এটা দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত করা উচিৎ।”
(৩) বণিক বার্তা: বিশ্ববাজারের সঙ্গে মূল্য সমন্বয় হচ্ছে না জ্বালানি তেলের পত্রিকাটির প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমছে। গত মাসেও বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ব্যারেলপ্রতি গড় মূল্য ছিল ৮১ ডলার ৪০ সেন্ট। আর আন্তর্জাতিক বাজারে গতকাল মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ছিল ৭৬ ডলারের নিচে। মূল্যে পতনের বিষয়টি অন্যান্য বাজার আদর্শেও অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, গত মার্চ থেকে দেশে জ্বালানি তেলের ‘স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ’ পদ্ধতি চালু রয়েছে। জ্বালানি বিভাগ সংশ্লিষ্টদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে এ মূল্য নির্ধারণ হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববাজারে পণ্যটির দাম কমতির দিকে থাকলেও চলতি মাসে জ্বালানি বিভাগ ডিজেল-কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম বাড়িয়েছে।
জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য সমন্বয়ের এ পদ্ধতি ঠিকমতো বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অতিমাত্রায় মুনাফার প্রবণতাকে দায়ী করছেন জ্বালানি খাত বিশেষজ্ঞরা। আর জ্বালানি তেলের এ উচ্চ মূল্যকেই দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসার অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন তারা। (৪) মানবজমিন: আনার হত্যায় নতুন মোড়, ফাঁসছেন দলের নেতারা পত্রিকাটি অন্যতম প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মিশন বাস্তবায়নকারী শিমুল ভূঁইয়া রিমান্ডে তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে যেসব নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছেন, তাতে এ ঘটনায় আরও ফেঁসে যাচ্ছেন ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা।
এরইমধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সম্পৃক্ততা থাকার কারণে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ ওরফে বাবুকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। তার আগে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। সম্পৃক্ততা পাওয়ার পরে তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আনার হত্যাকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন বাবু। হত্যার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে সবকিছুতে তার সম্পৃক্ততা মিলেছে। আনার হত্যার পর মিশন বাস্তবায়নকারীদের দুই কোটি টাকা দেয়ার কথা ছিল তার। সঞ্জীবার ওই ফ্ল্যাটে আনারের মুখে চেতনানাশক স্প্রে করার পর তার পোশাক খুলে নগ্ন ছবি তোলা হয়েছিলো।
এসব ছবি ছাড়াও মিশন বাস্তবায়ন করে তোলা ছবিও ঘাতক শিমুল ভূঁইয়া বাবুর মোবাইলে পাঠিয়েছিলো। ছবিগুলো ঝিনাইদহ-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতাকে দেখানোর জন্য পাঠানো হয়েছিলো। (৫) সমকাল: রাজনৈতিক যোগসূত্র পাচ্ছে গোয়েন্দারা এমপি আনার হত্যায় রাজনৈতিক যোগসূত্র থাকার বিষয়টি সমকাল পত্রিকায়ও এসেছে। এখানে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে এখনও পাদপ্রদীপের আলোয় আছেন যুক্তরাষ্ট্রে পালানো আক্তারুজ্জামান শাহীন। তবে শাহীনের পেছনে কেউ না কেউ আড়ালে থেকে ঘুঁটি চালতে পারেন- এমন সন্দেহ থেকে সরছে না তদন্ত দল। তাই এমপি হত্যায় স্থানীয় রাজনীতির যোগসূত্র নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ঝিনাইদহের রাজনীতির মাঠের কোন কোন নেতা এমপি আজীম না থাকায় লাভবান হতে যাচ্ছেন, তাদের ওপর ফেলা হচ্ছে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। এ
পটভূমিতে ঝিনাইদহের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা আছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্টদের চোখে চোখে, যাদের সঙ্গে অনেক দিন ধরে শাহীনের সখ্য ছিল। এ ছাড়া কারও কারও সঙ্গে ছিল আজীমের বিরোধ। যদিও শুরু থেকে তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলে আসছেন, চোরাচালানকেন্দ্রিক দ্বন্দ্বসহ বেশ কয়েকটি কারণ সামনে রেখে তারা রহস্য ভেদের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এদিকে, কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্সের বাসায় সেলিস্তি রহমান ছাড়াও গিয়েছিলেন আরেক বাংলাদেশি তরুণী। (৬) সমকাল: বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার আশাবাদ
পত্রিকাটির প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছ- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামীতে আরও দৃঢ় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। গত রোববার সন্ধ্যায় ভারতের নয়াদিল্লিতে মোদি সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠকে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়। গতকাল সোমবার সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। দুই নেতা আশা প্রকাশ করেন, বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও গভীর হবে। অত্যন্ত উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে রাষ্ট্রপতি ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নরেন্দ্র মোদিকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পরে দুই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেন। ভারতের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী, বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল, আমন্ত্রিত সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা নৈশভোজে অংশ নেন। সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় করেন। (৭) নয়া দিগন্ত: সর্বব্যাপী দুর্নীতি, অরক্ষিত ব্যাংক খাত এটি নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এই প্রতিবেদনে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, “দেশে এখন সর্বব্যাপী দুর্নীতি, ব্যাংক খাত নিয়ন্ত্রণহীন ও অরক্ষিত। প্রশাসনের সব স্তর জবাবদিহিতার অভাব, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ভরা। এর ফলে সরকারি ব্যয় সাশ্রয়ের বদলে ব্যাপক অপচয় হচ্ছে।”
সোমবার নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘অর্থনীতির চালচিত্র ও প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৪-২৫’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “সাবেক আইজিপির শত শত কোটি টাকা ব্যাংকে জমা হলো, আবার রাতারাতি উধাও হয়ে গেল। তাহলে এই টাকাগুলোর পদচিহ্ন কোথায় গেল। ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিভাগের কাজ এখানে কী ছিল।” আলোচনায় অংশ নিয়ে ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ব্যাংক খাতে বিশৃঙ্খলা এমন পর্যায়ে এসে পড়েছে যে, অর্থনীতির সবচেয়ে সংবেদনশীল জায়গায়টি এখন নিয়ন্ত্রণহীন ও অরক্ষিত অবস্থায়।
তিনিও প্রশ্ন করেন, “সম্প্রতি আমাদের সাবেক আইজিপি (বেনজীর আহমেদ) সাহেবের ব্যাপারে একটি সংবাদ এসেছে, হাজার হাজার কোটি, শত শত কোটি টাকা ব্যাংকে জমা হচ্ছে, আবার রাতারাতি ব্যাংক থেকে তা উধাও হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী এত টাকা কোথায় থেকে আসছে অথবা কোথায় যাচ্ছে তা লিপিবদ্ধ করতে হয়। তাহলে এই টাকাগুলোর পদচিহ্ন কোথায় গেল?” (৮) যুগান্তর: বিদেশে পাচারের নীলনকশা! এটি যুগান্তর পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অধিক মুনাফার প্রলোভনে সারা দেশ থেকে অন্তত ৮০০ কোটি টাকার ‘আমানত’ সংগ্রহ করেছে রাজশাহীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আমানা গ্রুপ।
মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম)-এর আদলে তাদের পুঁজি সংগ্রহের কার্যক্রম নিয়ে ইতোমধ্যেই বিতর্ক উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির অধীনে বিশাল আবাসন প্রকল্পের নামসর্বস্ব কাগুজে জায়গা জমি দেখিয়ে বাণিজ্যের নামে উঠেছে প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ। কোম্পানির কর্ণধাররা অবৈধভাবে যুক্তরাজ্য, দুবাই, ভারত ও পাকিস্তানে ব্যবসায়িক সংযোগ তৈরি করে সাধারণের কাছ থেকে সংগ্রহ করা আমানতের বিপুল অর্থ পাচারের ‘নীলনকশা’ তৈরি করেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একটি সরকারি সংস্থার তৈরি করা ২৪ পাতার এক প্রতিবেদনের সূত্র ধরে যুগান্তরের অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে।
(৯) কালের কণ্ঠ: বিদেশি বিনিয়োগে জাহাঙ্গীরের থাবা কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পোশাকশিল্প খাতে ২০১৭ সালে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) শুরু করে হংকংভিত্তিক বহুজাতিক শিল্পগোষ্ঠী লাওস গ্রুপ।কিন্তু ট্রেড লাইসেন্স সংশোধনী ও নবায়ন না হওয়ায় গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা ও বাইপাসে ১৮ বিঘার ওপর নির্মিত লাওস গ্রুপের কলোটেক্স অ্যাপারেল লিমিটেডের উৎপাদন বন্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, লাওস গ্রুপের মতো বিদেশি শিল্পগোষ্ঠীর বিনিয়োগে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন মেয়র জায়েদা খাতুনের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম। যদিও বৈশ্বিক সংকটে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সরকার প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগে জোর দিচ্ছে। কিন্তু দেশে ব্যবসারত বহুজাতিক কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্সের নবায়ন, সংশোধনী না করে এ লক্ষ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন তিনি। (১০) আজকে পত্রিকা: মিলেমিশে লোপাট করে ফাঁসছেন ঠিকাদার-প্রকৌশলী এটি পত্রিকাটির প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার কিসমত জাফরাবাদ মৌজায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (জাগৃক) একটি প্লট প্রকল্পে অর্ধেকেরও কম মাটি ভরাট করে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা বিল তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার।
জাগৃক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক তদন্তে এর সত্যতা মেলায় ফেঁসে যাচ্ছেন জাগৃকের চার প্রকৌশলী। সম্প্রতি দুদক মহাপরিচালকের (তদন্ত-২) কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ প্রকল্পের ঠিকাদারসহ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে তিনটি মামলা করার সুপারিশ করেছেন সংস্থাটির পরিচালক মো. সফিকুর রহমান ভূঁইয়া। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন জাগৃকের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শামসুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার মোর্শেদ, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. অলিউল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী আশ্রাফুজ্জামান ও প্রকল্পের ঠিকাদার মাইনুল কবির।

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----