শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

আমরা শপথ নেব, প্রয়োজনে দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না; তৌফিক-ই-ইলাহী

 

সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, প্রয়োজনে দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে।

রবিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আয়োজিত ‘শিল্পে জ্বালানি সংকটের ক্ষতিকর প্রভাব প্রশমন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

এখন এলএনজি আনা হচ্ছে না জানিয়ে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, আমাদের রিজার্ভের যে অবস্থা, আমরা জানি না সামনে কী হবে। যদি ২৫ ডলার দাম ধরেও এলএনজি আমদানি করতে যাই, চাহিদা মেটাতে অন্তত ৬ মাস কেনার মতো অবস্থা আছে কি না জানি না।

এখন সাশ্রয়ী হওয়া ছাড়া উপায় নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, প্রয়োজনে দিনের বেলায় সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধই করে দিতে হবে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কবে শেষ হবে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছু ধারণা পাওয়া গেলে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিতাম এমনটা জানিয়ে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ভোলাতে কিছু গ্যাস আছে, সেগুলো আমরা সিএনজিতে নিয়ে আসব।

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে যাওয়া হচ্ছে জানিয়ে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ পাব। আরও এক হাজার মেগাওয়াট সোলার প্যানেলের মাধ্যমে উৎপাদন করব। তখন সমস্যার সমাধান অনেকটাই করতে পারব।

উপস্থিত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, আজকে যদি আমরা গ্যাস বাঁচাতে চাই তাহলে লোডশেডিং বাড়বে। তখন আপনারাই সমালোচনা করবেন। অথচ একসময় সব জায়গায় বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা চাইলে এসি বন্ধ রাখতে পারি। বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে পারি।

সারাদেশে যে পরিমাণ এসি চলে, তাতেই ৫ থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, আমরা এসি বন্ধ রাখব বা কম চালাব। এতে দুই-তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সেভ হবে। গ্যাস সাশ্রয় হবে।

কৃষি ও শিল্পে বিদ্যুৎ বেশি দেওয়ার চেষ্টা করা হবে উল্লেখ করে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, প্রয়োজনে অন্যরা বিদ্যুৎ ব্যবহার কম করব। প্রয়োজনে দিনের বেলা ব্যবহারই করব না। বিদ্যুৎ যদি আমরা শিল্পে দেই, তাহলে আবাসিকে সাপ্লাই কমাতে হবে। সেটা করলেই আবার মিডিয়ায় অনেকেই অনেক কথা বলবেন।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, যুদ্ধের সময় তো আমাদের কিছুই ছিল না। তখনো আমরা চলেছি। এখনো পারব। আমরা শপথ নেব, দরকার হলে দিনের বেলায় কোনো বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না।

সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী যখন শিল্প-কারখানা খুলে দিলেন, তখন অনেক বুদ্ধিজীবী এর বিরোধিতা করেছিলেন। অথচ সেই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। এখনো প্রধানমন্ত্রীকে তেমন একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিটিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান ও বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসাইন প্রমুখ ।

সো /আ
সূত্র — ঢা /পো

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----