বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

কমলনগরে  ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে  সন্ত্রাসী হামলা, মালামাল লুট,  প্রাণনাশের হুকমি

 

নুরুল আমিন ভূঁইয়া দুলাল  নিজস্ব প্রতিবেদক

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এক শিক্ষক পরিবারের মালিকানাধীন দোকানের উপর সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ও লুটের ঘটনা ঘটেছে।  উপজেলার করুনানগর বাজার রিতা সিনেমাহল সংলগ্ন  এমন ঘটনা ঘটে। এখানেই শেষ নহে, সৃষ্ট ঘটনাকরীরা অন্যায় জোর জুলুম করে  নিরীহ ওই পরিবারকে প্রাণনাসের হুমকিতে অব্যাহত রেখেছেন। 

প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী ফাহমিদা খানম গত সোমবার  লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার ও প্রেসক্লাবে  বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এমন সন্ত্রাসীকান্ডে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রামগতি উপজেলা পশ্চিম চরকলাকোপা গ্রামের ফাহমিদা খানম
( প্রভাষক পদে মির্জা আব্বাস মহিলা কলেজে) কর্মরত)। তার পিতা  ফকির মোহাম্মদ উল্যাহ তাকে ৮ শতক   দোকান ভিটি দান করেন। এর আগে তিনি ওই ৮ শতক জমি স্হানীয় সতিষ চন্দ্র মজুমদার, পিতা- মৃত গৌর চন্দ্র মজুমদার ও সতিষের ছোটভাই মনোরঞ্জন দাস থেকে ১৯৯৯ সালসহ বিভিন্ন সময়ে ক্রয় করে দোকানঘর তৈরী করে অদ্য পর্যন্ত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ইতিপূর্বে ওই দোকানে রঞ্জিত  নামে একব্যক্তিকে দোকান ভাড়া দেয়া হয়েছে। 
ওই ভাড়াটিয়ার মালামাল ও আমাদের দোকানে জমারাখা প্রয়োজনীয় মালামাল লুট ও ভাংচুর করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসী খোকন মোক্তারগংরা।

এদিকে জমি ও দোকান ঘরের প্রকৃত মালিক 
ফাহমিদা খানম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,  আমার বাবার ক্রয়কৃত ও আমাকে দান করা দোকান ঘরের ভাড়াটিয়াকে জোরপূর্বক  দখলের চেষ্টায় গত ৭ আগস্ট ২০২৪  সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায় খোকন মোক্তার ও আজাদ মোক্তারগংরা। 

এছাড়া তারা প্রাকাশ্যে আমার বাবার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা  দাবি করে আসছেন। তারা জোরপূর্বক ও অন্যায়ভাবে আমাদের দোকানের সামনের অংশ দখলের চেষ্টা চালায়। 

তিনি আরও বলেন আমার বৃদ্ধ পিতা ও আমরা দূরে চাকরির করার  সুযোগে আমাদের উপর মানসিক অত্যাচার চালায়। এছাড়া বিচার – বৈঠকে বাজার ব্যবস্হাপনা কমিটির কথাও অমান্য করে আসছে তারা । তারা আমাদের দোকান ভিটির বাহিরের দাগে জমি ক্রয় করে আমাদের দখলকৃত জায়গা অন্যাভাবে দাবি করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভিন্ন স্হান উল্টো অভিযোগ আছে বলে মানুষের কাছে অপপ্রচার চালিয়ে আমাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে।

এবিষয়ে জেলা- উপজেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

অভিযোগ অস্বীকার করে খোকন মোক্তার জানান,  আমরা একইদাগের জমি হংসপ্রতি মজুমদারের কাছ থেকে  কিনেছি।

কমলনগর থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মো: তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক পরিবারের দোকানের ঘটনায় লুট- দকল ও তাদের কাছে  চাঁদাদাবির বিষয়টি সত্য। আমরা আরো গভীরভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধ আইনগত ব্যবস্হা নিবো।

দেশ জার্নাল /সো আ

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----