
মা ছিলেন সংগীতানুরাগী, কিশোর কুমারের ভক্ত। প্রিয় শিল্পীর নামানুসারে তার সন্তানের নাম রাখেন ‘কিশোর’। মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতেই তিনি সংগীতাঙ্গনে পা রাখেন।মূলত সিনেমার গানের শিল্পী (প্লেব্যাক গায়ক) হিসেবে কালজয়ী এন্ড্রু কিশোর। ১৯৭৭ সালে ‘মেইল ট্রেন’ সিনেমায় আলম খানের সুরে প্রথম গান করেন তিনি। তবে শ্রোতামহলে তার কণ্ঠ ছড়িয়ে পড়ে ১৯৭৯ সালের ‘প্রতিজ্ঞা’ সিনেমার ‘এক চোর যায় চলে’ গানের মাধ্যমে। 'প্লেব্যাক সম্রাট' এন্ড্রু কিশোর আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি পাঁচবার বাচসাস পুরস্কার ও দুবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন।
মূলত মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহ সব অনুভূতির গানই তার কণ্ঠে পেয়েছে অনন্য মাত্রা। তার শত শত কালজয়ী গান এখনও মানুষের মুখে মুখে। এর মধ্যে ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘কারে দেখাব মনের দুঃখ গো’ বা ‘তুমি আমার জীবন, আমি তোমার জীবন’ ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙাল’ ‘এক জনমে ভালোবেসে ভরবে না মন, ভরবে না’সহ অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান আজও তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
১৯৮৭ সালে আহমাদ ইউসুফ, আনোয়ার হোসেন বুলু, ডলি জহুর, দিদারুল আলম বাদল, শামসুল ইসলাম নান্টুর সঙ্গে টিভি নাটক, বাণিজ্যিক এবং অন্যান্য প্রযোজনার জন্য ‘প্রবাহ’ নামে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন এন্ড্রু কিশোর। এন্ড্রু কিশোর লিপিকা অ্যান্ড্রু ইতির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এ দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। তাদের কন্যা মিনিম অ্যান্ড্রু সংজ্ঞা ও পুত্র জয় অ্যান্ড্রু সপ্তক। ১৫ হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন এন্ড্রু কিশোর, যা বাংলাদেশি শিল্পীদের ক্ষেত্রে বিরল দৃষ্টান্ত।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ সোহেল আলম
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হারুনুর রশিদ
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক : এস এম জাকির হোসাইন
যুগ্ম সম্পাদক : তানভীর হাসান
মোবাঃ 01811-605212, 01763-592492, 01826-406770
ই-মেইল - dailydeshjournal@gmail.com
সম্পাদকীয় কার্যালয় : জনতা সুপার মার্কেট-২য় তলা, মেইন রোড, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর।