লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও গুলি করেছে সন্ত্রাসীরা। এতে এক সাংবাদিক গুলিবিদ্ধসহ চার সাংবাদিক আহত হয়েছে।
আহত সাংবাদিকরা , দৈনিক খবরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলাম,চন্দ্রগঞ্জ থানা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও আমার সংবাদের প্রতিনিধি আলাউদ্দিন,প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক ও আলোকিত সকালের প্রতিনিধি ফয়সাল মাহমুদ,অনলাইন পোর্টালের ন্যাশনাল প্রেসের প্রতিনিধি নিরব হোসেন।
গুরুতর আহত সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম,আলাউদ্দিন ও ফয়সাল মাহমুদকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে রফিকুলের অবস্থায় গুরুতর।
সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার গনেশশ্যামপুর এলাকায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলার কর্মরর্ত সাংবাদিকরা।
আহত সাংবাদিকরা বলেন, সদর উপজেলার গনেশ্যামপুর এলাকায় মারামারি ও জমি দখলের সংবাদ পেয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য লক্ষ্মীপুর থেকে দুইটি মোটসাইকেলে যোগে ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন সাংবাদিকরা। এসময় দত্তপাড়া কলেজ থেকে কিছুদুর সামনে গেলে ৭ জনের একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে তার ওপর ধারালে অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে তার মাথায় পেটে যায়। এরপর অন্য সাংবাদিকরা বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এতে ফয়সাল মাহমুদের কানে ও গায়ে গুলি লাগে। এসময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও ফোন নগদ টাকা পয়সা লুটে নেয়।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনার খবর শুনে সদর হাসপাতালে ছুটে যান সাংবাদিকরা। এর মাস খানেক আগে সাংবাদিক রফিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবী জানান প্রেক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমেদ হেলাল-সাধারন সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল ও জেলায় কর্মরত সাংবাদিক সমাজ এবং দ্রুত জড়িতদের গ্রেফতার না হলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারী দেন তারা।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. কমলাশীষ জানান, তিনজনকে আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থায় গুরুতর। তার মাথায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। পাশাপাশি অন্য আহত ফয়সাল মাহমুদের পায়ে দুইটি আঘাত রয়েছে। সেটা গুলি কিনা বিষয়টি এক্সরে করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের চিহিৃত করে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। এই বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। ইতিমধ্যে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে।
দেশ জার্নাল /সো আ
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 দেশ জার্নাল. All rights reserved.