বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে তাণ্ডবে স্ত্রী – সন্তানসহ একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যুর

 

মালয়েশিয়া থেকে একমাস আগে দেশে ফেরেন নিজাম উদ্দীন। আট বছরের প্রবাস জীবনের সবটুকু সম্বল দিয়ে দুই হাজার ২০০ স্কয়ার ফিটের পাকা বাড়ি বানান।কাঁচা ঘর ছেড়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আগামী শুক্রবার সেই নতুন ঘরে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু চার দিন আগেই সব শেষ হয়ে গেলো।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে ঝড়ো বাতাসে ঘরের ওপর গাছ পড়ে স্ত্রী সাথি আক্তার ও মেয়ে লিজা আক্তারসহ (৪) মারা গেছেন নিজাম উদ্দীন।

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের হেসাখাল পশ্চিম পাড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিজাম উদ্দীনের ভাতিজা আবদুর রহমান  বলেন, ‘কাকা মাত্র একমাস আগেই দেশে ফিরেছেন। আট বছর মালয়েশিয়া ছিলেন তিনি। এর মাঝে দুই বার বাড়ি এসেছেন।

এবার পাকা ঘরের কাজ ধরেছিলেন। মাত্র সাত দিন পর কাজ শেষ হয়ে যেতো। আর চার দিনের মধ্যে ভেতরের দুটি  রুমে ওঠার কথা ছিল তার। তাই রুমও ঠিক করেছেন। নতুন ঘরে ওঠার সব প্রস্তুতিও নিয়েছেন। কিন্তু গতরাতে সব শেষ হয়ে গেছে।’

প্রতিবেশীরা জানান, নিজাম উদ্দীনের বাবা আবদুর রশিদ অসুস্থ। তিনি উঠতে বসতে পারেন না।নিজামের ইচ্ছা ছিল, পাকা ঘরে মা-বাবা ও স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে পাকা ঘরে উঠবেন। কিন্তু তার আর পারলেন না।

প্রতিবেশী  কামরুজ্জামান বলেন, ‌‘এভাবে একটি পরিবার শেষ হয়ে যাওয়ায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুরো এলাকায় শোকের মাতম।

স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, ‘গতকাল বিকালেও নিজামের সাথে কথা হয়েছিল। রাতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মারা গেলো। দুঃখজনক ঘটনা। আট বছর বিদেশে থেকে যা কিছু  করলো, তাও ভোগ করতে পারলো না।

তিনি আরো বলেন, বাড়ির কাজ শেষ হলেই উঠে যাবে। তাই ভেতরে দুটি রুম ঠিকঠাক করছিলো। আগামী শুক্রবারে ওঠার কথা ছিল। যার এত স্বপ্ন ছিল তার পরিবারকে মাত্র কবর দিয়ে আসলাম।’

নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান মেহবুব জানান,  ‘একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যুর ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তিন জনের দাফনের জন্য ১৫ হাজার টাকা দিয়েছি। তাদের পরিবারের জন্য সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

দেশ জার্নাল/ সো/আ

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----