হানিফের বড় ছেলে শাহাবুদ্দিন বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন মাইজভান্ডার তরিকায় হাজার হাজার আশেকান সৃষ্টি করেছেন। আমাদের এ বাড়িতে প্রতিবছর তিনি আশেকানদের নিয়ে ওরস মাহফিল করে আসছেন। যার খরচ সম্পূর্ণ আমাদের পারিবারিক সদস্যরা বহন করেন। যেহেতু তিনি রোগশয্যায় যেকোনো সময় মৃত্যুবরণ করতে পারেন। উনার মনের ইচ্ছাতেই উনি নিজের কবরটা যেন দেখে যেতে পারেন। সেই লক্ষ্যেই আমরা ছেলেরা বাবার সামনে কবরটা তৈরি করছি। স্থানীয় ইউপি মেম্বার লিটন চৌধুরী বলেন, এ ব্যক্তি ভিন্ন তরীকার লোক, যে কারণে তিনি তার মত করে এ কবর করেছেন। ইসলামী শরিয়তে কি বলে তা আমার জানা নেই। তবে তার জীবনের শেষ ইচ্ছে মোতাবেক কবরটি করা হয়েছে।স্থানীয় হাজী এমরাত আলী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুল হাসান বলেন, মৃত্যুর আগে কবরের জন্য স্থান নির্ধারণ করা এবং মাটি ভরাট করা যেতে পারে। কিন্তু মৃত্যুর আগে বা পরে কবর বাঁধাই করা ইসলাম সমর্থন করে না। এ বিষয়ে বুড়িরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তির ছেলেদেরকে জিজ্ঞাসা করলাম যে এটা কেন করেছ। ছেলেদের উত্তর ছিল আমার বাবার একান্ত ইচ্ছা যেন উনি উনার কবরটা দেখে যেতে পারে। আমি তাদেরকে বলেছি ইসলামের বিধি বিধানের বাইরে এ সব কাজ করা যাবে না। এ সব গর্হিত কাজ এখনই বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2025 দেশ জার্নাল. All rights reserved.