বুধবার, ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

দখল-দূষণে বিপর্যস্ত রায়পুরে ডাকাতিয়া নদীর মোহনার সংযোগ খাল

 

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে  ডাকাতিয়া নদীর চরবংশী বাজার শতবছরের খালের পাড় দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে  অবৈধ স্থাপনা।
খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দূষণে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এতে খাল ভরাট হয়ে পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।  খালের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। এই খাল দিয়ে বৃষ্টি ও ঢলের পানি নিষ্কাশন করা হয়। কিন্তু দখল–দূষণে পানি নিষ্কাশনের এই পথ বন্ধ হয়ে পড়ায় উত্তর ও দক্ষিন চরবংশী দুই ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা আছে। সরেজমিনে দেখা যায়, রায়পুর উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পৌর শহরের সঙ্গে লাগোয়া বংশী বাজারের ডাকাতিয়া নদীর মোহনার খালের পাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে অনেক অবৈধ স্থাপনা। এতে পানিপ্রবাহে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া খালে বাজারের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। খাল থেকে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ। খালটি দখল হওয়া অংশ উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, বর্জ্য ফেলার কারণে খালের পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। অথচ বোরো মৌসুমে এই খালের পানি দিয়ে অন্তত দু’টি ইউনিয়নের ২০০ একর জমিতে সেচ দেওয়া হয়। এ ছাড়া খালটি দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে বর্ষায় বৃষ্টির পানি ঠিকমতো নামতে পারে না। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় প্রায় ২৫টি গ্রামে।
বংশী বাজারের বাসিন্দা জাফর ও বেলায়েত বলেন, খালটি ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়ায় গত বছর ২৫টি গ্রামে বন্যা দেখা দেয়। খালের  জায়গা দখল করে বাড়িঘর কাপড়-জুতার দোকান, সেলুন, ফার্নিচার, ফাস্টফুড ও মাংসের দোকান করা হয়েছে বছরের পর বছর ধরে। যোগাযোগ করিলে
চরবংশী বাজার কমিটির সভাপতি ডাঃ মনির হোসেন কবিরাজ  বলেন, বংশী ষ্টিল ব্রিজের সামনের এলাকা থেকে সড়কের অধা কিলো পর্যন্ত অংশে সবচেয়ে বেশি দখল ও দূষণ হয়েছে। খালের এক পাড়ের ওপর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর গড়ে উঠেছে। বাজার এলাকায় খালের অংশে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনায় ভরে খালটি সরু হয়েছে। এ কারণে উজান থেকে নেমে আসা পানি এই খালের অংশ দিয়ে ডাকাতিয়া নদীতে প্রবাহিত হতে পারছে না।
২ নং উত্তর চরবংশী  ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হোসেন হাওলাদার  বলেন, মোহনা খালটি দখল আর দূষণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ প্রায়। খালের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। খাল দখল করে গড়ে তোলা দাকান পাঠগুলো উচ্ছেদ না করলে খনন করে কোনো লাভ হবে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার  অঞ্জন দাশ বলেন, খালটি দখল ও দূষণমুক্ত করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সক্রিয় অংশগ্রহণ লাগবে। কারণ, পানি প্রবাহের রাস্তা তৈরি করতে হবে। তবে নদী-খাল দখলে ন্যূনতম ছাড় দেয়া হবে না বলে তিনি জানান।
এস.এম /দেশ জার্নাল 

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----