নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কাজী ফারুক (৪০) কে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আসামী আমিরুল ওরফ আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ম্যাগজিনসহ বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের মোতালিব মিয়ার ছেলে।
ওসি তানভীর আহমেদ জানান, গত ১৯ জুন নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ফারুক গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। পরে গত ২২ জুন নরসিংদী থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা দায়ের করার হয়। মামলা নং-৩০। অত্র মামলার এজাহারভুক্ত আসামী আমিরুল ওরফে আমিনুল ইসলাম। সে ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন।
আসামীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) এর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগের তত্ত্বাবধানে উপপরিদর্শক সাইয়াদুর রহমানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার রাত সোয়া ১১টায় সদর উপজেলার হাজীপুর এলাকা গ্রেপ্তার করেন।
পরে প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে সে ফারুক হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পিস্তল তার দেখানোমতে আলীপুর গ্রামে আমিনুল ইসলামের বসত ঘর থেকে লোকানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে নরসিংদী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয় এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয় বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ, গত ১৯ জুন নজরপুর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত কাজী ফারুক (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
নিহত কাজী ফারুক নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামের কাজী খলিলের ছেলে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।
Copyright © 2024 দেশ জার্নাল. All rights reserved.