বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পাহাড়ধসে সিকিমে ভেঙে গেল তিস্তা প্রকল্পের একাংশ

সিকিমে পাহাড়ধসে ভেঙে গেছে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি বাঁধ। এর ফলে পার্শ্ববর্তী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবা বাঁধে পানির চাপ দ্রুত বাড়ছে। এ অবস্থায় সেখানে বন্যার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক রয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে সিকিমের বালুতরে পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশনের (এনএইচপিসি) তিস্তা স্টেজ–৫ বাঁধ। ভিডিওতে দেখা যায়, পাহাড়ের বিশাল অংশ ধসে পড়ছে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওপর। তাতে মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ে বাঁধের বড় অংশ।

সিকিমে তিস্তা নদীর ওপর একাধিক বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। চালু হয়েছে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পও। এরপর পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবায়ও তিস্তার ওপর বাঁধ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবারের ঘটনার ফলে গজলডোবায় পানির চাপ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ সিকিমে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। তিস্তা নদীতে এখন অনেক পানি। তাই গজলডোবার বাঁধ থেকে পানি ছাড়লে নিচের অংশে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যার প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশেও।

জানা গেছে, সিকিমে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর মালদহের গজলডোবা, বামনগোলা ও পুরাতন মালদহে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। টাঙন ও পুনর্ভবা নদীতে পানির স্তর বেড়েছে অনেকটা। এরই মধ্যে রাজ্যের সেচ ও পানিসম্পদ মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া রিপোর্ট তলব করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন নদীর সার্বিক রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। কোথায় কী পরিস্থিতি তার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরপরই আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো।

কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সিকিমসহ উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে আরও দু’দিন বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে তিস্তা নদীতে পানির চাপ আর বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----