শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পৃথিবী হারাচ্ছে কীট-পতঙ্গ মানুষও যাবে বিলুপ্তির পথে!

 

দেশ জার্নাল ডেস্কঃ
বিজ্ঞানীদের দাবি আবহাওয়া পরিবর্তন, যুদ্ধ এবং অবৈজ্ঞানিকভাবে কৃষিকাজই দায়ী।
রঙ-বেরঙের প্রজাপতি, মৌমাছি, বোলতা (বল্লা) ও ভীমরুল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের কীট-পতঙ্গ পৃথিবীতে ধীরে ধীরে কমছে। যতই দিন গড়াচ্ছে এর তালিকা দীর্ঘই হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের একাংশের মতামত হচ্ছে, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী কয়েকশো বছরের মধ্যেই পতঙ্গ শূন্য হবে গোটা পৃথিবী।

পতঙ্গ শূন্য পৃথিবীতে মানুষের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। এমনকি সেই পরিস্থিতি মানব জাতিকে বিলুপ্তির পথেও নিয়ে যেতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা। বিজ্ঞানীরা এর জন্য আবহাওয়া পরিবর্তন, যুদ্ধ এবং অবৈজ্ঞানিকভাবে কৃষিকাজকেই দায়ী করেছেন।

কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়, তাই নিয়ে ইতোমধ্যে গবেষণাও শুরু করেছে ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সম্প্রতি এই ইস্যুতে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ‘নেচার’ পত্রিকায়। গত কয়েক বছর ধরেই পতঙ্গের উপর গবেষণা চালাচ্ছে ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডন।
‘নেচার’ পত্রিকায় এই সংস্থার গবেষকদের লেখা প্রবন্ধে দাবি করা হয়েছে, গত তিন বছরে প্রজাপতির মতো পতঙ্গের জন্মহার কমেছে ৪৯ শতাংশ। অন্যান্য পতহঙ্গের অবস্থাও তথৈবচ। বল্লা থেকে ভীমরুলের জন্মহার কমেছে ৩০ শতাংশেরও বেশি।

কিছুটা ভাল অবস্থায় রয়েছে মৌমাছি। তাদের জন্মহার ১০ শতাংশের বেশি কমেনি। পতঙ্গের পাশাপাশি বেশ কিছু কীটের অবস্থাও খুব খারাপ। ওই প্রবন্ধেই প্রায় ১০০ কীট-পতঙ্গকে এখনই বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি বলে ঘোষণার দাবি তোলা হয়েছে।

কেন ধীরে ধীরে বিলুপ্তি ঘটছে কীট-পতঙ্গের? এর পেছনে একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন পতঙ্গবিদরা। তাদের দাবি, আবহাওয়ার পরিবর্তনই এর মূল কারণ। বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্যে বহু জায়গারই পরিবেশের অনেকটাই বদল ঘটেছে। এতে করে মানিয়ে নিয়ে বংশবৃদ্ধি করতে পারছে না পতঙ্গরা।

এছাড়া গত কয়েক বছরে জঙ্গল পরিষ্কার করে কৃষিক্ষেত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে বহু দেশ। ফসল উৎপাদন বাড়াতে ক্রান্তীয় অঞ্চলে ফুলের চাষ কমানো হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে পতঙ্গের উপর। আর সর্বশেষ কারণ হিসেবে যুদ্ধকে দায়ী করেছেন বিজ্ঞানীরা।

বিশ্বের ২০ হাজারের বেশি কীট-পতঙ্গের উপর সমীক্ষা চালিয়েছে লন্ডনের ওই সংস্থা। গবেষকদের দাবি, কিছু কিছু পতঙ্গের সংখ্যা প্রতি বছর ৬৩ শতাংশ করে কমছে। যা এক দশক আগেও দেখা যেত না।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ, টাইমস অব ইন্ডিয়া। (ইনকি)

সো/আ

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----