ফিলিস্তিনি ব্যাংক বিচ্ছিন্ন করতে চায় ইসরায়েল; যা বলছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী
সংবাদের আলো ডেস্ক: যুদ্ধ শুরুর পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৮০০ জনে। এমন পরিস্থিতেতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ব্যাংকিং সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। তবে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী জেনেট ইয়েলেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে ‘মানবিক সংকটের’ ঝুঁকি রয়েছে। ফিলিস্তিনি এলাকায় অর্থ পৌঁছানোর জন্য এই ব্যাংকিং চ্যানেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, উত্তর ইতালির স্ট্রেসা শহরে সাংবাদিকদের জেনেট ইয়েলেন বলেন, ‘ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ব্যাংকগুলোকে ইসরায়েলের ব্যাংকের সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, আমি সে ব্যাপারে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।’ ওই শহরে ধনী দেশগুলোর জোট জি৭-এর অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী জানান, ফিলিস্তিনি ওই ব্যাংকিং চ্যানেলগুলো যে তহবিল পরিচালনা করে, তা ব্যবহার করে ইসরায়েল থেকে ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য ও সেবা আমদানি করা হয়। এসবের মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি এবং খাদ্য। এ ছাড়া ব্যাংকগুলো প্রতিবছর ২০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা করে, যার ওপর ফিলিস্তিনি মানুষের জীবন নির্ভর করে। সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও জি৭ দেশগুলো কী করতে পারে, এমন প্রশ্ন করা হলে জেনেট ইয়েলেন বলেন, ইসরায়েলের দখলে থাকা পশ্চিম তীরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কয়েক মাস আগেই তিনি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যেমনটা বলেছি, ইসরায়েলের ব্যাংক থেকে ফিলিস্তিনি ব্যাংকগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার (ইসরায়েলের) এই পদক্ষেপ মানবিক সংকট সৃষ্টি করবে। অবশ্যই এটা এমন বিষয়, যা নিয়ে কথা হবে।’জেনেট ইয়েলেন বলেন, তিনি আশা করছেন পশ্চিম তীরের অর্থনীতিতে এমন একটি সিদ্ধান্তের কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে অন্যান্য দেশগুলো কথা বলবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি ইসরায়েলের ওপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।