রামমন্দিরে ফাটল, চুইয়ে পড়ছে পানি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উদ্বোধনের পাঁচ মাসের মধ্যেই ‘বিপর্যয়’ ভারতের অযোধ্যার রামমন্দিরে! বর্ষার শুরুতেই মন্দিরের গর্ভগৃহের ছাদ থেকে বৃষ্টির পানি চুইয়ে পড়তে শুরু করেছে। এ যেন আরও এক ধাক্কা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। জানা গেছে, এ বছরের প্রথম বৃষ্টিতেই ছাদ ফুটো হতে শুরু করেছে রাম মন্দিরে। যার ফলে মন্দিরের ভেতরে এবং আশপাশের কমপ্লেক্সে পানি জমেছে। ফলে মন্দিরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা দাঁড়িয়েছে প্রশ্নের মুখে।’ রামলালার জমকালো অভিষেক অনুষ্ঠান চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি হয়েছিল। বিনোদন জগৎ থেকে শুরু করে ভারতের হেভিওয়েট ব্যক্তিত্ব হাজির ছিলেন সেদিন। তবে এখনও তার নির্মাণ চলছে। মন্দির প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই জানা গিয়েছিল এর সুবিশাল নির্মাণের কথা।
২.৭ একর জমির উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই মন্দির। ১৮০০ কোটি টাকার খরচে তৈরি এই মন্দির। এই মন্দির তৈরিতে ব্যবহার করা হয়নি কোনো ইস্পাত বা লোহা। শুধু নির্মাণ শৈলীর উপরে ভর করে দাঁড়িয়ে রয়েছে রামমন্দির। এমনকি নাগরা স্থাপত্য শৈলীর সঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞানের মিশেলে তৈরি হয়েছে রামমন্দির। এটি তৈরির পেছনে রয়েছেন দেশের বিশাল নামী বিজ্ঞানীরা। সাহায্য নেওয়া হয়েছে ইসরোর। কিন্তু প্রথম বর্ষাতেই এমন অবস্থা রামমন্দিরের।
রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস বলেছেন, চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্রের নেতৃত্বে রাম মন্দির নির্মাণ কমিটি এখনও বিভিন্ন চেম্বারে কাজ করছে। যেখানে আরও দেবতাদের স্থাপন করা হবে। এই ইনস্টলেশনগুলো ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, কেন নবনির্মিত মন্দিরটি ফুটো হচ্ছে তা সমাধানের দিকে অবিলম্বে নজর দেওয়া উচিত।’ জানা গেছে, প্রাক-বর্ষা বৃষ্টিতে অযোধ্যার পরিকাঠামোরও উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতি হয়েছে।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার প্রবল বৃষ্টিতে রাম পথের তিনটি স্থান-সহ পাঁচটি বড় রাস্তা ধসে পড়েছে। রিকাবগঞ্জ রোডের চকের কাছে এবং পুলিশ লাইনের সামনে বড় বড় গর্ত দেখা দিয়ে অতিরিক্ত ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বড় আয়োজনের মাধ্যমে অটল সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্র সেতুটিই ভারতের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু। এর জন্য খরচ পড়েছিল প্রায় ১৭,৮৪০ কোটি টাকা। কিন্তু ৫ মাস যেতে না যেতেই সেই সেতুতে দেখা গেল ফাটল।
দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।