লেবাননের যে অস্ত্রের ভয়ে কাঁপছে ইসরায়েলি বাহিনী
গত বুধবার দক্ষিণ গাজা থেকে সামরিক সরঞ্জাম লেবানন সীমান্তে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে ইসরায়েল। এরপরই মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, আয়রন ডোমের কয়েকটি ব্যাটারির পাল্টা হামলা ঠেকানোর পুরো সক্ষমতা নেই। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই আয়রন ডোম। এর পেছনে প্রতি বছর ২৯০ কোটি ডলারের খরচ করে থাকে তেলআবিব। ইসরায়েলের দাবি গত বছর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোর চালানো রকেট হামলা ঠেকানোর ক্ষেত্রে আয়রন ডোমের সফলতার হার ছিল ৯৫ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে তাদের চেয়ে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী অনেক বেশি শক্তিশালী।
বছরের পর বছর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার মতো শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আসছে ইরান। ইসরায়েলের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এসব অস্ত্র দিয়ে তারা বড় ধরনের হামলা চালালেই কেবল সেগুলো ঠেকানোর সক্ষমতা হারাতে পারে আয়রন ডোম। অবশ্য এরই মধ্যে নিজেদের সক্ষমতা দেখিয়েছে লেবাননের ইরানপন্থী গোষ্ঠীটি। চলতি মাসের শুরুতে আয়রন ডোমের একটি ব্যাটারিতে হামলা চালিয়েছে তাদের ড্রোন। চলতি সপ্তাহেই গোষ্ঠীটির ড্রোন থেকে ধারণ করা এক ভিডিওতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থাপনার চিত্র ধরা পড়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর ধারণা, লেবাননের সংগঠনটির হাতে প্রায় দেড় লাখ ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট আছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তাদের ৪০ থেকে ৫০ হাজার যোদ্ধা রয়েছেন। তবে গত বুধবার সংগঠনটির প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ জানিয়েছেন, এই সংখ্যাটা এক লাখের অনেক বেশি। এর মধ্যে হিজবুল্লাহর বিশেষ বাহিনী ‘রেদওয়ান ফোর্সের’ সদস্যরাও রয়েছেন। হাসান নাসরাল্লাহ জানান, লেবাননের ওপর যদি যুদ্ধ ‘চাপিয়ে’ দেওয়া হয়, তাহলে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে কোনো নিয়মের তোয়াক্কা করবে না তার দল।
দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।