প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪, ১১:৪৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ৮, ২০২৪, ৭:০০ অপরাহ্ণ
সড়ক আটকে ক্রিকেট খেলছেন কোটাবিরোধীরা
সংবাদের আলো ডেস্ক: কোটাবিরোধীদের বাংলা ব্লকেড ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে। শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব, বাংলামটর, কারওয়ান বাজার মোড়সহ বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করেছেন তারা। বিকেল পৌনে ৬টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে সড়ক আটকে ক্রিকেট খেলছেন কোটাবিরোধীরা। এদিকে, এই আন্দোলন থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আন্দোলনকারীরা। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তারা পড়ার টেবিলে ফিরবেন না বলেও জানিয়েছেন।রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে রেখেছে কোটাবিরোধীরা। এতে অচল ঢাকার সড়ক। ভিড় বেড়েছে মেট্রোরেলে। অনুযায়ী সেই স্বর ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর সাত-সাতটি পয়েন্টে। এখন শাহবাগ থেকে বাংলা মটর হয়ে ফার্মগেটে অবস্থান নিয়েছেন কোটাবিরোধীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মোড়ে কোটাবিরোধীরা সড়ক অবরোধ করে খেলছেন ক্রিকেট। সব মিলিয়ে স্থবির হয়ে পড়েছে রাজধানীর সড়ক। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। কোটাবিরোধীদের একজন সমন্বয়ক সার্জিস আলম বলেন, কোটা সংবিধানে বাধ্যতামূলক নয়। এটি দিতে বাধ্য করা হলে সংবিধানের জন্য সাংঘর্ষিক হয়। সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত আসন বা কোটার আসন আছে। জাতীয় সংসদেও ৫৬ শতাংশ কোটা দেওয়া হয় না। সেখানে ১৪ শতাংশ কোটার সিট আছে। চাকরির ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ কোটা অযৌক্তিক। এই আন্দোলন যৌক্তিক নয়’ বলে মাননীয় প্রধামন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে আমার ধারণা, বঙ্গবন্ধুর পাশে যেমন মোস্তাক ছিল, তার পাশেও কিছু মোস্তাক আছে। আমাদের প্রাণের দাবিগুলো তার কাছে পৌঁছাতে দিচ্ছেন না।এজন্য আমরা আজ শাহবাগ থেকে বলতে চাই—পুরো বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। আপনি সংবিধান অনুসারে কোটা বিলুপ্ত করুন। পিছিয়ে পরাদের জন্য কিছু কোটা থাকতে পারে। এ ছাড়া কোটা বিলুপ্ত করুন। যেদিন আমাদের দাবি আদায় হবে, সেদিন আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যাব।আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গতকাল থেকে আমাদের এক দাবি। আমাদের দাবিটি হচ্ছে–সব গ্রেডে অযৌক্তিক বৈষম্যমূলক সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর পিছিয়ে পরা জাতিগোষ্ঠীর জন্য কোটা ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে।আগামীদিনের কর্মসূচির বিষয়ে নাহিদ বলেন, আমাদের বলা হচ্ছে এটা আদালতের বিষয়। ৫০ বছর অপেক্ষা করেছি। আমাদের দাবি যদি যৌক্তিক মনে না হয়, তাহলে আপনারা কোটা শতভাগ করে দেন।