৩ মাসে দ্বিগুণ আলু-পেঁয়াজ ও ডিমের দাম
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এবং ফলন তুলনামূলক কম হওয়ায় চলতি মাসে পণ্যটির দাম দ্বিগুণ হয়েছে। অথচ দুই সপ্তাহ আগেই কাঁচামরিচের কেজি ছিল ১০০ টাকা। এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই চড়া ডিমের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। বাজারে এখন প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়। হালি হিসেবে কিনতে গেলে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা। মহল্লার দোকানগুলোতে ৬০ টাকাও রাখা হচ্ছে। যদিও এর আগে থেকেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। ৬০ টাকার নিচে মিলছেনা কোনো সবজিই।ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করা হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৪০ টাকায়, যা গত এক মাস আগে বিক্রি হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকায়। ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করা হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকায়, গত মাসে বিক্রি করা হয় ১২০ থেকে ১২৬ টাকায়। এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ে কৃষকের সবজি ক্ষেতের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এতে বাজারে সরবরাহ কমেছে। এ কারণে দামও বাড়তি। তবে তাদের এ ধরনের ব্যাখ্যাকে অজুহাত বলছেন ক্রেতারা। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর শ্যামলী ও মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজার ঘুরে বাজারের এ চিত্র দেখা গেছে।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ও হিমাগারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে আলুর দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় কাঁচামরিচসহ অন্যান্য সবজির দাম বাড়তি। তবে স্থিতিশীল রয়েছে মাংসের বাজার। রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি ব্রয়লার ২০০-২২০ টাকা এবং সোনালি জাতের মুরগি ৩৫০-৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকা আর খাসি মাস ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।