মঙ্গলবার, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

রায়পুরে বিশেষ অভিযানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও চাঁদপুরের চরভৈরবি মেঘনা নদীর  বেরিবাঁধ সড়কের খাল দখল করা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ  করলো প্রশাসন। বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চরবংশি ইউপির মোল্লারহাট বাজারে,  খাসেরহাটের চমকাবাজার, কড়ইতলা ও বটতলা  স্থানে পাউবোর খালের দুই পাশে আরসিসি পিলারে পাকা স্থাপনার ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনজন দাশ। এসময় পাউবোর লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের উপভিবাগীয় প্রকৌশলী ইমতিয়াজ মাহমুদ ও ফাড়ীর ইনচার্জ মফিজুর রহমানসহ ভুমি অফিসের তহসীলদার।।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনজন দাশ বলেন, রায়পুর-চরভৈরবি সীমানা ও সদরের বেরিবাঁধ সড়কের দুই পাশে -দখল করে ইমারত নির্মান করেন প্রভাবশালীরা। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিন চরবংশী ইউপির মোল্লারহাট বাজারে ঢুকতেই বেরিবাঁধের উপর ডান পাশের জায়গা দখল করে আরসিসি পিলার দিয়ে স্থাপনা করছে বর্তমান-মেম্বার দিদার মোল্লা, উত্তর চরবংশি ইউপির চমকাবাজারে ডানপাশে পাউবো জায়গায় দখল করে আরসিসি পিলারের ওপর অবৈধ পাকা স্থাপনা করছে মানিক হাওলাদার। বর্তমান ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় হাজিমারা সুইস গেইটের আগে মদিনাবাজারের কড়ইতলা বেরিবাঁধে বন বিভাগের ৬টি গাছ কেটে বেষ্টনি দিয়ে বালু ভরাট করে ভবন করছেন স্থানীয় ফারুখ মাঝি। হায়দরগঞ্জের রচিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় সামনে থেকে তার বেরিবাঁধ সড়কের দুইপাশে  সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা করে স্থানীয় প্রভাবশালী।রায়পুর-খাসেরহাট সড়কের পাটোয়ারি রাস্তারমাথা থেকে খাসেরহাট বাজার পর্যন্ত শতাধিক অবৈধ স্থাপনা। হায়দরগঞ্জ বাজার ১২ কিলোমিটার সড়কে তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়। দখলের কারণে খালটি সংকুচিত হয়ে পড়ছে। নাব্যতা হারাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে বিলের পানি খালে নামতে বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। খাল দখল করে অর্ধশতাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন স্থানীয় ক্ষমতাশিন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
দেশ জার্নাল/এস.এম 

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়