বেলকুচিতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে সাবেক শ্রমিকদল নেতা আটক
উজ্জ্বল অধিকারী: সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে নির্বাচন পরবর্তী একাধিক সংঘর্ষ ও মারপিটের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে সাবেক শ্রমিকদল নেতা আমিরুল ইসলাম আকন্দকে আটক করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি)’র একটি দল। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে বেলকুচি উপজেলার চালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আটক আমিরুল ইসলাম চরচালা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি সম্প্রতি বোমা বিস্ফোরণে ফজলু শেখ নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামী আব্দুল মোতালেব সরকারের ভাগিনা। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার সমর্থক হিসেবে কাজ করেছে।
সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুলহাজ উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনের পর থেকে বেলকুচিতে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষ ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আমিরুল ইসলাম আকন্দকে আটক করে বেলকুচি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগসহ স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আমিরুল ইসলাম বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল বেলকুচি পৌর শাখার সভাপতি ছিলেন। তিনি ২০১১ সালে সিরাজগঞ্জের মুলিবাড়ীতে খালেদা জিয়ার জনসভায় ট্রেন পোড়ানো মামলার আসামি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুল মমিন মণ্ডল নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর অনানুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন আমিরুল ইসলাম আকন্দ। নির্বাচনে নৌকা প্রতীক বিজয়ী হওয়ার পর বেলকুচিতে বেশ কয়েকটি সহিংস ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় আমিরুল ইসলাম আকন্দ জড়িত সন্দেহে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করে।
বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিছুর রহমান জানান, কোনো মামলার এজাহারে আমিরুলের নাম নেই। তবে তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরা হয়েছে তাকে। গত কয়েকদিনের সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ/ছয়টি মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।