বৃহস্পতিবার, ৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

দুই যুগের অন্ধকারের পর পূর্ণীমার আলো

রায়হান আলী: দীর্ঘ ২ যুগ ধরে বয়ে বেড়ানো সারাদেশে আলোচিত ঘটনা গণধর্ষণে শিকার পূর্ণীমা রাণীর নাম অনেকেই জানেন। ২০০১ সালে উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্বদেলুয়া গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী  সহিংসতায় ১২ বছরের ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া কিশোরী পূর্ণীমা রাণী শীল গণধর্ষণের শিকার হয়। এরপর তাকে ও তার পরিবার কে গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।  সেই পূর্ণীমা রাণী হাজারো নির্যাতিত নারীদের অনুপ্রেরণার নাম। ধর্ষণের শিকার হওয়া পূর্ণীমা বিচারের আশায় বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তবুও থেকে থাকেনি, জীবনে সংগ্রাম করে বেঁচে আছেন এখনো। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত জেতার শুরু হয় সহিংসতা।
৮ অক্টোবর রাতে উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের পূর্বদেলুয়া গ্রামের অনিল চন্দ্র শীলের বাড়িতে হামলা করে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল। বাড়িতে ভাংচুর লুটপাট চালিয়ে ১২ বছরের কিশোরী পূর্ণীমা রাণী শীল কে তুলে নিয়ে যায় তারা। এরপর কিশোরী পূর্ণীমা কে পৈশাচিক ভাবে গণধর্ষণ চালায়। এ ঘটনায় ২০০১ সালে মামলা সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা হয়। পরে ২০১১ সালে আদালত ১১ জন কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এই মামলায় বর্তমানে ৭ জন আসামি কারাগারে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ণীমা রাণী গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩ নম্বর আসামি মোঃ আব্দুল মমিন (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ। সে পূর্বদেলুয়া গ্রামের শীতল প্রামাণিকের ছেলে। উল্লাপাড়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুর ইসলাম শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান দীর্ঘ ১৩ বছর পলাতক থাকার পর ঢাকা জেলার সাভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরো পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----