শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

আবারও যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মিসরের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের সাক্ষাৎ

 

ছবি -রয়টার্স

অনলাইন ডেস্কঃ

আবারও গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা করতে মিসরের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বৃহস্পতিবার কায়রোতে সাক্ষাৎ করেন তারা। খবর রয়টার্সের।

ইসরায়েলের একজন মন্ত্রী বলেছিলেন, পুরো বিশ্ব যদি বিপক্ষেও চলে যায় তবু যুদ্ধ চালিয়ে যাবে ইসরায়েল।

বর্তমানে গাজার যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে আল শিফা হাসপাতাল। চতুর্থ দিনের মতো হাসপাতালটিতে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল। উত্তর গাজার একমাত্র আংশিক সচল হাসপাতাল ছিল এটি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, তারা হাসপাতালের কমপ্লেক্সের ভেতরে অগ্নিদগ্ধ ভবন দেখেছেন।

পাঁচ মাস যুদ্ধের কারণে গাজার ২৩ লাখ ফিলিস্তিনিদের মারাত্মক খাদ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ফলে কিছু এলাকায় দুর্ভিক্ষের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

ব্লিঙ্কেন আরবি সম্প্রচারকারী আল হাদাথকে বলেছেন, ‘আমরা জিম্মিদের মুক্তির পাশাপাশি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিচ্ছি। যুদ্ধবিরতি হলে গাজার ভুক্তভোগীরা তাৎক্ষণিক ত্রাণ পাবেন। যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে একটি প্রস্তাবের খসড়াও তৈরি করেছে।’

প্রায় ছয় সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতিকে কেন্দ্র করে চলতি সপ্তাহে কাতারে যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরায় শুরু হয়েছে। চুক্তিতে ইসরায়েলি কারাগারে আটক শত শত ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে ৪০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি থাকবে।

তবে হামাস বলেছে, যদি স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ হয় তবে তারা জিম্মিদের মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরায়েল বলছে, তারা শুধু অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়েই আলোচনা করবে।

ব্লিঙ্কেন আল হাদাথকে বলেছেন, ‘আমি মনে করি চুক্তির ফাঁক ফোকর কমে আসছে এবং একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি অবশ্যই সম্ভব। ইসরায়েলি দল উপস্থিত আছে। চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা আছে।’

সিসির অফিস ও মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ব্লিঙ্কেন ও সিসি একসঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি পর্যালোচনা করছেন।

ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন সিসি। রাফাতে সামরিক অভিযানের বিপদ সম্পর্কেও সতর্ক করেছিলেন তিনি। রাফা এখন বেসামরিকদের জন্য আপেক্ষিক নিরাপত্তার শেষ ঠিকানা। গাজার অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা এখানে আশ্রয় নিচ্ছে।

ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের বৈঠকে একটি টেকসই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। ইইউর পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, তারা পূর্ববর্তী বিবৃতির চেয়ে আরও শক্ত অবস্থান নেবেন।

তিনি বলেছিলেন, ‘তারা (গাজাবাসী) ক্ষুধার্ত। তাই আমি আশা করি কাউন্সিল ইসরায়েলকে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাবে: অবরোধ বন্ধ করুন, গাজায় খাদ্য আসার অনুমতি দিন এবং বেসামরিক নাগরিকদের যত্ন নিন। অবশ্যই ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে, (কিন্তু) প্রতিশোধ নেওয়ার নয়।’

দেশ জার্নাল / সো আ (সূত্র –ইনকি)

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----