বর্তমান সময় বাংলাদেশের বিপিএল খেলাকে কেন্দ্র করে গ্রাম অঞ্চলে অনলাইন জুয়ারীর সংখ্যা যেন হাজার গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন জুয়া খুব মারাত্মক আকারে ধারণ করলো। যদিও বাংলাদেশে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ। তবে প্রশাসনের কোনো তদারকি না থাকার কারণে বাংলাদেশের কিছু টিভি চ্যালের ও কনটেন্টিয়েটারদের লোভনীয় বিজ্ঞাপনের কারণে এই প্রজন্ম অনলাইন জুয়াই আসক্ত হচ্ছে। অল্পতে অনেক টাকা আয় করার লক্ষ্যেকে বেকার তরুণ ও শিক্ষার্থীরা অনলাইন জুয়াই যুক্ত হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে এখন যেন মহামারীদের ধারণ করছে। বিভিন্ন জুয়ার ওয়েবসাইটে গিয়ে একাউন্ট খুলে। এবং তারা এই একাউন্টগুলোতে মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংক কার্ড বিটকয়েন এবং মাস্টার কার্ডের লেনদেন করে থাকে। অনলাইন জুয়ার বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মধ্যে যে লোভনীয় অফার দেখায় তা হচ্ছে তাদের একটি বড় ফাঁদ। আমি অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম যে এই অ্যাকাউন্টগুলোতে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। এতে তারা কম পরিশ্রমে টাকা আয় করা হিসেবে অনলাইন জুয়া কে বেছে নেয় । লোভে পড়ে তারা টাকা বিনিয়োগ করতে করতে নিঃস্ব হয়ে যায়, কিন্তু লাভের কোন পথ দেখেনা। তারপর ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেয় পাবে আশায়। তার পর তারা পেশাদার জুয়ারী হয়ে উঠে। এই ধরনের ওয়েব সাইডের মাধ্যমে প্রতারকেরা হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এবং তা দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয় করে। আজকের এই প্রজন্ম আগামীর বাংলাদেশ। তাই তারা যেন কোনভাবে অনলাইন জুয়া ও মাদকে আসক্ত না হয়। তাই প্রশাসনের নজরদারি থাকা উচিত। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের অভিভাবকেরা কম শিক্ষিত হওয়ার কারণে তাদের সন্তান কি করে কিংবা কি করতেছে তা নিয়ে কোন খোঁজ রাখে না। অনলাইন ক্লাসের কথা বলে, তারা মোবাইল হাতে নিয়ে, অনেক শিক্ষার্থী মোবাইল আসক্ত হয় পড়ছে। এখন অনলাইন জুয়া খেলে প্রতারিত হচ্ছে। তাই সরকারও প্রশাসনের উচিত গ্রাম অঞ্চলের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে এইসব বিষয়ে ন্যূনতম প্রাথমিক ধারণা দেওয়া উঠিত ইস্কুল কলেজগুলোতে। আর যারা অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন কিংবা এসব বিষয়ের সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওয়াতে আনা । এবং অনলাইন জুয়ার ওয়েবসাইট গুলো অতি শীঘ্রই বন্ধ করে দেওয়া।
মোঃ তানজু।
লক্ষীপুর