শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

নোয়াখালীর  বাবুকে বিয়ে  করে গ্রামের বাড়িতে, মিশরীয় মেয়ে ডালিয়া

 

বাংলাদেশী তরুণ চাকরির সুবাদে ২০১২ সালে মিশরে পাড়ি জমান নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড গোবিন্দপুর গ্রামের গোলাম মাওলার ছেলে গোলাম সারোয়ার বাবু। পাশাপাশি বাসায় থাকায় ২০১৭ সালে তাদের মধ্যে পরিচয় ও মন দেওয়া নেওয়া হয়। সে থেকে মধুরলগনে গড়ায় তাদের সম্পর্ক, পরিবারের মতে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয় এ জুটি। এরপর থেকে অধ্যবধি পর্যন্ত তাদের একসাথে পথ চলা।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাতে ঢাকা হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর হয়ে বাংলাদেশের নিজ বাড়িতে আসেন বাবু। সাথে করে নিয়ে আসেন মিশরীয় স্ত্রী ডালিয়া দিয়াত দ্বীপকে। মিশরী ডালিয়াকে নিয়ে বাবু বাড়িতে এসেছেন এমন খবরে শুক্রবার সকাল থেকে তাঁর বাড়িতে ভিড় করতে থাকে লোকজন। ডালিয়াকে এক নজর দেখতে ভিড় করছেন বাবুর বাড়িতে।

বাবুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে বাড়ির এক চাচার সহযোগিতায় ২০১২ সালে মিশর যান গোলাম সারোয়ার বাবু। পরবর্তীতে মিশরের আলেকজেন্ডারিয়া এলাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন বাবু। চাকরির করাকালিন ডালিয়াদের পাশের বাসায় থাকতেন বাবু। পাশাপাশি বাসায় হওয়ায় প্রথমে ডালিয়ার ভাইয়ের সাথে তার বন্ধুত্ব হয়, এর সূত্রধরে ডালিয়াদের বাসায় আসা যাওয়া ছিলো বাবুর। আসা যাওয়ার মধ্যে ডালিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। ২০১৮ সালে তাদের সম্পর্কের বিষয়টি ডালিয়ার পরিবারকে জানালে প্রথমে তারা রাজি ছিলেন না, রাজি ছিলো না বাবুর পরিবারও। কিন্তু বাবু-ডালিয়ার অথৈই প্রেমের কাছে হার মানতে রাজি হন দুই পরিবার। ২০১৯ সালে তাদের মধ্যে আংটি বদল ও ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের ২০তারিখে তাদের বিয়ে হয়। গত বছর তাদের কোল জুড়ে এক সন্তান এলো পরে মারা যায় শিশুটি।

বাবু বলেন, ডালিয়ার সাথে তার সম্পর্ক ও বিয়ের পর এ প্রথম দেশে আসা তাদের। বর্তমানে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। বিদেশী পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে খুঁশি শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত বলেও জানান তিনি।

কিছুটা বাংলা বলতে পারা ডালিয়া বলেন, বাংলাদেশি খাবার এবং পরিবেশ তার ভালো লাগে। এটা তার স্বামীর দেশ। এ দেশকে তিনি ভালোবাসেন। আগামি দুই মাস এখানে থেকে আবার মিশর যাবেন তারা, এরপর থেকে সুযোগ ফেলেই দেশে আসবেন বলেও জানান এ মিশরী বধূ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান মিরন বলেন, দেশে আসার পর থেকে বাবুদের বাড়িতে অনেক ধরনের লোকের ভিড় লেগে আছে। এতে করে যেন কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে তার জন্য আমরা পরিবারটির দেখাশুনা করছি। সবসময় তাদের সাথে যোগাযোগও রাখা হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব বলে পরিবারটির পাশে থাকতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন এ মেম্বার।

সো/আ

 

 

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----