শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

রায়পুরে রাস্তা পাকাকরাকে কেন্দ্র করে রাতের আঁধারে  ৫শ’ গাছ কর্তন 

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে রাতের আঁধারে প্রায় ৫০০ সুপারি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে গাছের সুপারি। বাড়ির রাস্তা পাকাকরাকে কেন্দ্র করে পৌরসভার উত্তর দেনায়েতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার গভীর রাতে কাটা গাছগুলো মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে লোকজন দেখতে পায়।
ওই এলাকার রিয়াজ উদ্দিন পাটওয়ারী বাড়ির ইটের রাস্তাটি প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পাকাকরণের জন্য পৌরসভা থেকে টেন্ডার দেওয়া হয়। পুরাতন ৫ ফুটের রাস্তাটি বাড়িয়ে ১০ ফুটে উন্নীত করার কথা। এ কাজের জন্য দুইপাশের বাগানের সহস্রাধিক সুপারি ও অন্যান্য গাছ কাটা প্রয়োজন পড়ে। এ নিয়েই মূলত: বিরোধের সূত্রপাত। গত সোমবার বিকেলে পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট সরেজমিন গিয়ে দু’পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে বিরোধ মেটানোর জন্য প্রয়োজনে বৈঠকে বসে সমঝোতা করার কথা বলে আসেন। কিন্তু পাটওয়ারী বাড়ির লোকজন ওই রাতেই এ ধরণের ঘটনা ঘটায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৫০০ সুপারি গাছ কেটে এলোপাথাড়ি ফেলে রাখা হয়েছে। দুপাশের গাছগুলো না কেটে শুধুমাত্র এক পাশের গাছগুলোকেই কাটা হয়েছে। রাস্তাটি বর্তমান অবস্থান থেকে দুপাশেই সমভাবে বাড়ার কথা। কিন্তু পাটওয়ারী বাড়ির বাসিন্দাদের গাছ না কেটে অন্যদের গাছগুলো বেছে বেছে কাটা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে সুপারি বাগানে গিয়ে দেখি পাটওয়ারী বাড়ির লোকজন আমার ৫০০ গাছ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলে রেখেছে। আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে ওই বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে শুধু আমাদের অংশের গাছ কেটেছে। তাদের ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় আমরা হতবাক।’
মৌসুমী সুপারি ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, আমি দেড় মাস আগে রফিকুল ইসলামসহ তিনজনের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে সুপারি বাগান রেখেছি। তারা আমার সুপারিগুলো লুটপাট করেছে। গাছের সঙ্গে কেউ এ ধরণের নির্মম শত্রুতা করতে পারে তা ভাবতেও পারিনি।
পাটওয়ারী বাড়ির বাসিন্দা হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন পাটওয়ারী বলেন, রাতের আঁধারে কে বা কারা গাছ কেটে সুপারি নিয়ে গেছে তা আমরা জানি না। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। তবে আমরা চাই রাস্তাটি প্রশস্ত করে পাকাকরণ করা হোক। কিন্তু রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিনেও রাজী না হওয়ায় এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে।
রায়পুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থ নেবো।
রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, ‘রাস্তাটি নিয়ে কয়েকটি পক্ষের বিরোধ থাকায় গত সোমবার সরেজমিন পরিদর্শন করি। মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত রাস্তার কাজটি করা হবে না। তবে নির্মমভাবে গাছগুলো কেটে তারা সঠিক কাজ করেননি।

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----