শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

লক্ষ্মীপুরে কারেন্ট জালসহ নৌকা জব্দ : ৫ জেলের কারাদণ্ড

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে “মা ইলিশ রক্ষায় মেঘনা নদীতে ভ্রাম্যমান আদালতে ৫ জেলের প্রত্যেককে ১০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন।
এসময় ৪টি বড় ইঞ্জিন নৌকা জব্দ এবং প্রায় এক লক্ষ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।

শুক্রবার রাতে রায়পুরের চরবংশী ইউপির মেঘনা নদীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অনজন দাশ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল ইকবাল, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল হক, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহমুদসহ হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য।

উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ইলিশ ধরার ওপরে ২২ দিনের (৮ থেকে ২৮ অক্টোবর) নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় রাতের অন্ধকারে শত শত টন ইলিশ ধরছে একশ্রেণির দুর্বৃত্ত।

রায়পুরে কোষ্টগার্ড না দেয়ায় ও স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নদীতে চলছে ইলিশ ধরার উৎসব। তেমনি রাত ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ঘাটগুলোতে চলে বেচাকেনা। মন্ত্রনালয়ে আবেদনসহ একাধিকবার ফোনে জানালেও কোষ্টগার্ড দেয়নি এবং রাতে অভিযানে বিপাকে পড়তে হচ্ছে মৎস্য কর্মকর্তাদের।
রাত ১টার পর চরবংশি গ্রামের চান্দার খাল,হাজিমারা সুইসগেইট, আলতাফ মাষ্টার মাছঘাট ও সাজু মোল্লার ঘাট এলাকায় মা-ইলিশ বিক্রির হাট বসে। চাঁদপুর থেকে শুরু করে পুরো রায়পুরের মেঘনা নদী হয়ে সদরের মজু চৌধুরীর লঞ্চঘাট নদীর মোহনা পর্যন্ত রাতে ট্রলারে চলে ইলিশ আহরণ।

জাটকা রক্ষা ও ইলিশ মাছ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৬ সাল থেকে চাঁদপুরের ষাটনল হতে রায়পুর হয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার নৌ-সীমাকে ইলিশের অভয়াশ্রম এলাকা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।

সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন,
রায়পুরে প্রায় ৭ হাজার জেলেকে ২৫কেজি করে চাল দেয়া হবে।

সো/আ

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----