শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

লক্ষ্মীপুরে সিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু

 

নুরুল আমিন ভূঁইয়া দুলাল,
নিজস্ব প্রতিবেদক

লক্ষ্মীপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় মো. আবু ছায়েদ (৫৫) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ভোর ৫ টার দিকে শহরের রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের সিটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন নিহতের স্বজনরা। তবে ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা হয়ে গেছেন ওই হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার রাকিবুল আহছান।

নিহত আবু ছায়েদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন ব্যাংক বুথের সিকিউরিটি গার্ড। স্বজনদের অভিযোগ, অপারেশনের ৬ ঘণ্টা পর রোগীর যন্ত্রণা বেড়ে গেলে বার বার ডাকার পরও নার্স কিংবা কর্তব্যরত চিকিৎসক কেউই খবর নিতে আসেনি। এতে দুই বার বমি হওয়ার পর মারা যান ছায়েদ।

স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আবু ছায়েদের ডান পায়ে পোঁড়ার অপারেশনের জন্য গত ২ জুলাই শহরের সিটি হসপিটালে ভর্তি করেন তার পরিবার। সব কিছু ঠিকঠাক থাকায় বুধবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ওই হাসপাতালের ডা. রাকিবুল আহছান রোগীর পায়ে অপারেশন করেন। অপারেশনের ৬ ঘণ্টা পর ভোররাতে হঠাৎ আবু ছায়েদের যন্ত্রণা বেড়ে যায়, এর কিছুক্ষণের মধ্যে বমি করতে থাকেন তিনি।

এ সময় হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক বা নার্সদের ডেকেও কাছে পাননি পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে হাসপাতালের বেডে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর চিকিৎসক এসে দেখে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর এ ঘটনা সিটি হসপিটাল নতুন নয়, অব্যবস্থাবনা, পুরনো যন্ত্রপাতি ব্যবহারে প্রসূতিসহ ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা।

নিহতের ছেলে দেলোয়ার অভিযোগ করে বলেন, অপারেশন করানোর আগে চিকিৎসক বলেছে অপারেশনের পর পায়ের ব্যাথা বাড়বে বা কমবে। কিন্তু তিনি মৃত্যুর ঝুঁকির কথা বলেননি। সঠিক সময়ে চিকিৎসক বা নার্স এসে চিকিৎসা দিলে হয়তো আমার বাবা মারা যেত না। তাদের অবহেলায় আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকালে সিটি হসপিটালে গিয়ে ডা. রাকিবুল আহছানকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি লাপাত্তা বলে জানাযায়। তবে ওই হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ইলিয়াস মাহমুদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চিকিৎসাজনিত কোন ক্রটি বা অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়নি। রোগীকে সঠিকভাবে অপারেশন এবং চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহম্মদ কবীর বলেন, হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছি। এ বিষয়ে রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।এস.এম/দেশজার্নাল 

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----