বৃহস্পতিবার, ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

সুবর্ণচরে শিক্ষক পরিবারের ওপর হামলা, ঘরবাড়ী ভাংচুর, আহত ১

 

মোঃজাহিদুল ইসলাম  (নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি) 

নোয়াখালী সুবর্ণচরে জায়গা জমি সংক্রান্তের জের ধরে প্রতিপক্ষরা রাতের অন্ধকারে এক শিক্ষক পরিবারের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পতিপক্ষরা মফিজ উল্যার স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে মারধর করে আহত করে। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ কল দিলে ঘটনাস্থল পরিদশন করে চরজব্বর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় রোকেয়ার স্বামী মফিজ উল্যাহ বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

ঘটনাটি ঘটে ৮ মার্চ (শুক্রবার) ৫নং চরজুবিলী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড চর মহি উদ্দিন গ্রামের সামছল হক মাষ্টারের বাড়ীতে।

ভুক্তভোগী রোকেয়া বেগম ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানাযায় মৃত সামছল হক মাষ্টারের পুত্র মফিজ উল্যাহ ও রহমত উল্যাহ ৪/৫ বছর আগে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমিতে বাড়ী ঘর তৈরী বসবাস করে আসছেন ১ মাস পূর্ব থেকে নোয়াখালী সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের শুক্কুরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান এর পুত্র ফরহাদ হোসেন ভুয়া কাগজপত্র সৃজন করে উক্ত বাড়ীঘর দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে, ঘটনার দিন দিবাগতরাত ১ টায় ফরহাদের নেতৃত্বে চর জুবিলীর ৩নং ওয়ার্ডের মৃত ছিদ্দিক মিয়ার পুত্র আজাদ মাঝি (৬০), আব্দুর রহমানের পুত্র নজরুলসহ অজ্ঞাত ৩৫/৪০জন গভীর রাতে বাড়ী ঘরে ব্যাপক হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ভাংচুর করে ঘরে থাকা মফিজ উল্যাহর স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাঁধা দিলে রোকেয়া বেগমকে এলোপাতাড়ী পিটিয়ে আহত করে, তার শৌরচিৎকারে সেতারা বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও শারীরিক লাঞ্চিত করে অভিযুক্তরা।

তাদের শোরচিৎকারে এলাকাবাসী দৌঁড়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায় পরে ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে চরজব্বর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে এলাকাবাসী আহত রোকেয়া বেগমকে চরজব্বর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক বিচার চেয়ে চরজব্বর থানায় ৩ জনকে আসামী করে রোকেয়া বেগমের স্বামী মফিজ উল্যাহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

সরজমিনে গেলে চর মহিউদ্দিন গ্রামের
মৃত কালা মিয়ার পুত্র দুলাল (৬৫), দুলাল মিয়ার পুত্র নিজাম উদ্দিন, মৃত রুহুল আমিনের পুত্র সাহাব উদ্দিন, নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী পান্না বেগম, রহমত উল্যাহর স্ত্রী রোজিনা বেগম, ফয়সালের স্ত্রী সেতারা বেগম বলেন, অভিযুক্ত ফরহাদ, আজাদ মাঝি, নজরুল দীর্ঘদিন ধরে ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের জায়গা বসতঘর দখল করার চেষ্টা করে আসছে, ঘটনারদিন রাতে তারা সঙ্গবদ্ধ হয়ে ভুক্তভোগীদের উচ্ছেদের চেষ্টা করে, বাড়ী ঘর ভাংচুরসহ রোকেয়াকে শ্লিলতাহানী ও মারধর করে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ফরহাদ, আজাদ মাঝির মুঠো ফোনে কল করে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্বব হয়নি।

চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। মফিজ উল্যার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দেশ জার্নাল /সো আ

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়