রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে পাকিস্তানের প্রথম জয়

 

 

সুপার ১২, পার্থ (টস-নেদারল্যান্ডস/ব্যাটিং)
নেদারল্যান্ডস- ৯১/৮, ২০ ওভার (অ্যাকারম্যান ২৭, এডওয়ার্ডস ১৫, ও’ডাউড ৮, শাদাব ৩/২২, ওয়াসিম ২/১৫, রউফ ১/১০)

পাকিস্তান-৯৫/৪, ২০ ওভার (রিজওয়ান ৪৯, ফাখার ২০, মাসুদ ১২, গ্লোভার ২/২২, ভ্যান মিকেরেন ১/১৯)
ফলাফল: পাকিস্তান ৬ উইকেটে জয়ী

 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানের হার হয়ত কিছুটা হলেও আশা জাগিয়েছিল নেদারল্যান্ডস শিবিরে। সেসব স্বপ্ন চূর্ণ করে ডাচদের বাস্তবতা বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান। দুর্দান্ত বোলিংয়ের প্রদর্শনীতে ডাচদের শতরানও ছুঁতে না দেওয়ার পর অনায়াসে লক্ষ্য তাড়া করে রান রেট বাড়ানোর কাজটাও পাকিস্তান সেরে রাখল ভালমতই।

৯২ রানের লক্ষ্যে এদিনও অবশ্য বাবর আজম ফিরেছেন এক অংকের ঘরে। দ্রুত এক সিঙ্গেল বের করতে যেয়ে ভ্যান ডার মারওয়ার দুর্দান্ত সরাসরি থ্রোতে ৪ রানে তিনি ফেরার পর অবশ্য মোহাম্মদ রিজওয়ান দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। ফাখার জামানের সাথে জুটি গরে প্রথম দুই ম্যাচের হতাশা কাটিয়ে রানে ফেরেন রিজওয়ান; পাওয়ারপ্লেতে পাকিস্তানকে নিয়ে যান ৪১ রানে।

৮ম ওভারের প্রথম বলেই অবশ্য উইকেটের পেছনে এডওয়ার্ডসের দুর্দান্ত ক্যাচে গ্লোভারের শিকার হয়ে ২০ রানে ফিরে যান এবারের আসরে প্রথম নামা ফাখার। রানে ফেরা রিজওয়ান অন্য প্রান্ত আগলে নিজের ৬৫তম ইনিংসে ২৫০০ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। তবে জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে ভ্যান মিকেরেনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৩৯ বলে ৪৯ রান করে ফেরেন রিজওয়ান। জয় থেকে হাতছোঁয়া দূরত্বে থাকার সময় গ্লোভারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ১২ রানে থাকা শান মাসুদও ফিরলে পাকিস্তানের জয়টাই কেবল বিলম্বিত হয়। উইকেটে এসে শাদাব খান চার মেরে তুলির শেষ আঁচড়টা দিয়েই নিয়ে আসেন কাঙ্ক্ষিত জয়।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে যেন অনুশোচনাতেই ভুগতে হয় ডাচদের। তৃতীয় ওভারেই স্টেফান মাইবার্গকে ফিরিয়ে বিশ্বকাপে নিজের উইকেটের খাতা খলেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে হারিস রউফের একটা খুনে বাউন্সার বাস ডি লিডের হেলমেটের গ্রিল গলে ঢুকে গেলে মাঠ ছাড়েন তিনি; কনকাশন বদলি হিসেবে একাদশে আসেন লোগান ভ্যান বিক। পাওয়ারপ্লেতে আর উইকেট না হারিয়ে নেদারল্যান্ডস তোলে মোটে ১৯ রান। তবে পাওয়ারপ্লের পর প্রথম বলেই আক্রমণে এসে টম কুপারকে ফেরান শাদাব খান। নিজের পরের ওভারে এসে ম্যাক্স ও’ডাউডকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। সেই চাপে পড়ে ডাচরা ১০ ওভারে তুলতে পারে মোটে ৩৪ রান।

এরপরেও দৃশ্যপটে তেমন একটা পরিবর্তন আসেনি পাকিস্তানি বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে। ১৫তম ওভারে নিজের স্পেল শেষ করতে এসে ২৭ রানে থাকা কলিন অ্যাকারম্যানকেও ফেরান শাদাব। দুর্দান্ত বল করতে থাকা নাসিম শাহ পরের ওভারে এসে ফেরান ১৫ রানে থাকা ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসকে। গতির পসরা সাজিয়ে পরের ওভারে রোলফ ভ্যান ডার মারওয়াকে ফিরিয়ে উইকেটের মিছিলে যোগ দেন রউফ। ১৯তম ওভারে দুর্দান্ত দুটি ইয়র্কারে টানা ২ উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের আশা জাগালেও সেটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রকে। ইনিংসের শেষ বলে পল ভ্যান মিকেরেন রান আউটের শিকার হলে নেদারল্যান্ডস পৌঁছাতে পারে মোটে ৯১ রান পর্যন্ত যা তেমন কোনও বাঁধা ছাড়ায় পেরিয়ে গিয়েছে পাকিস্তান।

সো/আ

দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।

----- সংশ্লিষ্ট সংবাদ -----

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়