শাহজাদপুরে বন্যায় পাকা সড়ক ভেঙ্গে ৯ গ্রামের মানুষের যাতায়াতে দূভোর্গ
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের চিথুলিয়া গ্রামের কাশিনাথপুর-শক্তিপুর পাকা সড়ক বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ায় এ সড়ক দিয়ে জরুরী শিশুখাদ্য গরুর দুধ পরিবহণ গত ১ সপ্তাহ ধরে বন্ধ থাকায় এ এলাকার প্রায় ৯টি গ্রামের প্রায় ৭০০ মণ গরুর দুধ পরিবহণে এলাকাবাসির চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেই সাথে, ধান, চাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব ধরণের পণ্য পরিবহণেও চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসির অভিযোগ স্থানীয় এলজিইডি বিভাগের লোকজন এ ভাঙ্গা অংশ মেরামতের জন্য বরাদ্দ বেশি পরিমাণে বাড়িয়ে নেওয়ার অপকৌশল হিসাবে ধীরগতিতে মেরামত কাজ করছেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য চাইলে শাহজাদপুর উপজেলা এলজিইডি অফিসের এস,এ,ই আমির ফারুক সরকার বলেন, বক্তব্য দিয়ে কি হবে, এ কাজের জন্য কি ভাবে বরাদ্দ বেশি আনা যায় আপনারা সেই চেষ্টা করেন। কাজের ধীরগতির বিষয়ে তিনি বলেন, কাজ চলছে। শেষ হতে কয়েকদিন সময় লাগবে। তবে তিনি এ বিষয়ে ভিডিও বক্তব্য দিতে রাজি হননি। এ বিষয়ে কায়েমপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাসিবুল হাসান বলেন, তগ বুধবার রাতে সড়কটির চিথুলিয়া অংশে ভেঙ্গে গেছে। ১ সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও সড়কটি মেরামত না করায় এ এলাকার ৯টি গ্রামের অন্তত ১০ হাজার লোকের প্রতিদিন যাতায়াতে দূর্ভোগ পোতাতে হচ্ছে। সেই সাথে এ এলাকার মানুষের চাল,ডাল, ধান সহ প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য পরিবহণে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে এ সব গ্রাম থেকে জরুরী শিশু খাদ্য ৭০০ মণ দুধ এ সড়ক দিয়ে বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা সহ অন্যান্য দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় সরবরাহ করা হয়। এ সড়কটি ভেঙ্গেযাওয়ায় এই বিশাল পরিমাণ দুধ প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরে যেতে খরচ ও সময় বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে। এতে সঠিক সময় দুধ পৌছাতে না পাড়লে তা পথে নষ্ট হয়ে কৃষকের চরম আর্থিক লোকশান গুনতে হচ্ছে। গ্রামগুলি হল, কায়েমকোলা, বাঙ্গালপাড়া, সায়েস্তাবাদ, সরাতৈল, বৃ-আঙ্গারু, চর আঙ্গারু, বনগ্রাম, কাশিনাথপুর, চিথুলিয়া।
এ বিষয়ে চিথুলিয়া গ্রামের হাজী শাহজাহান, দুলাল হোসেন, দিদার বক্স, হাবিবুর মোল্লা বলেন, গত মঙ্গলবার সকাল থেকে সড়কটির ওই অংশের নিচের ছিদ্র দিয়ে দুইদিন ধরে পনি গড়তে থাকে। এলাকাবাসি পক্ষ থেকে এখানে বস্তা ফেলে এটি দ্রুত মেরামতের জন্য শাহজাদপুর এলজিইডি অফিসকে বার বার তাগাদা দিলেও তারা তা গায়ে লাগায়নি। এরপর বুধবার ভেঙ্গে যাওয়ার পর খবর দিলেও তারা গত দুইদিন ধরে কিছু কাঁচা অবাত্তি বাঁশ ও এ সড়কের পাশের ইউকালেক্টাস গাছ দিয়ে খুবই ধীরগতিতে পাইলিং কাজ করছেন। ফলে এ কাজ শেষ হতে বেশি সময় অপচয় হচ্ছে। এতে এলাকাবাসিকে দীর্ঘ ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অথচ এ সড়কটি এ ইউনিয়নের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ত সড়ক। এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা এলজিইডি বিভাগের প্রকৌশলী এ,এইচ,এম কামরুল হাসান রনি বলেন, ভাঙ্গার পরিমাণ ও পানির গভিরতা বেশি হওয়ায় কাজ শেষ করতে একটু বেশি সময় লাগছে। তবে আশাকরছি আগামী এক সপ্তাহের এখানকার মেরামত কাজ শেষ হবে। তখন আর এ সমস্যা থাকবে না। তিনি আরও বলেন, শাহজাদপুর উপজেলা এলজিইডি অফিসের এস,এ,ই আমির ফারুক সরকার মানষিক ভাবে একটু অসুস্থ্য। তাই কি বলতে কি বলে ফেলেছেন।
দেশ জার্নাল বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো মন্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো।